আমরাও পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র চাই না…

সত্যভাষী
Published : 30 May 2011, 11:22 AM
Updated : 30 May 2011, 11:22 AM

২০২২ সালের মধ্যে সব পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করবে জার্মানি

বার্লিন, মে ৩০ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/রয়টার্স) জার্মানির ক্ষমতাসীন জোট ২০২২ সালের মধ্যে দেশের সবগুলো পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে দিতে সম্মত হয়েছে।

সোমবার সকালে শেষ হওয়া ক্ষমতাসীন জোটের বৈঠকের পর জার্মান পরিবেশমন্ত্রী নরবার্ট রোটগেন একথা জানিয়েছেন।

জার্মানির পরিবেশমন্ত্রীর বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, সাতটি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যে সবচেয়ে পুরানোটি এবং ক্রুয়েমেল পরমাণু কেন্দ্রটি আর কখনোই চালু করা হবে না। এছাড়া বাকি ছয়টি ২০২১ সালের মধ্যে এবং স¤প্রতি স্থাপিত কেন্দ্রটি ও নতুন তিনটি ২০২২ সালের মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, "এটা নির্দিষ্টভাবে করা হয়েছে। শেষ তিনটি কেন্দ্র ২০২২ সালের মধ্যে বন্ধ করা হবে এবং বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখার কোনো সুযোগ রাখা হয়নি।"

জাপানে ভূমিকম্প ও সুনামির ফলে ফুকুশিমা পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিপর্যয়ের পর জার্মানিতে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমত গড়ে ওঠে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল পরমাণু শক্তি কেন্দ্রগুলো পর্যবেক্ষণ করার জন্য একটি প্যানেল গঠন করেন।

প্যানেল রোববার পরমাণু কেন্দ্রগুলো সম্পর্কে তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর মার্কেলের ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেট পার্টি জোটের অন্য শরিকদের সঙ্গে বৈঠক করে।

বৈঠকের আগে মার্কেল বলেন, "আমরা সঠিক পথে এগুচ্ছে বলেই মনে হচ্ছে। তবে অনেক অনেক প্রশ্ন আমাদের বিবেচনায় রাখতে হবে।"

তিনি আরো বলেন, "কোনোকিছু থেকে বের হতে হলে নতুন জিনিসটি ঠিকভাবে কাজ করবে সে বিষয়টি প্রমাণ করতে হবে। একইসঙ্গে আমরা কিভাবে একটি টেকসই ও স্থায়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দিকে যেতে পারি সে বিষয়টিও প্রমাণ করতে হবে।"

ধারণা করা হচ্ছে, আগামী নির্বাচনে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিষয়টি একটি বড় ইস্যু হয়ে দেখা দেবে।

খবর সূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এমডি/সিআর/১৪২৬ ঘ.

যেখানে সারা বিশ্ব পরমাণু বিদুৎ কেন্দ্র গুটিয়ে নিচ্ছে সেখানে আমাদের দেশে এর নতুন কেন্দ্র তৈরির জন্য সরকার উদ্যেগ নিয়েছে। আমি সরকারকে অনুরোধ করব, দয়া করে অন্য কোন বিকল্প থাকলে তাই চেষ্টা করুন, এটা আমাদের জন্য হুমকি হিসাবে দেখা দিতে পারে। তাই আমরা পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র চাইনা ।