জামাত নেতা রাজাকার মীর কাশেমের ২০০ কোটি টাকার মিশন

সত্যভাষী
Published : 1 June 2011, 05:38 AM
Updated : 1 June 2011, 05:38 AM

মীর কাশেম আলী আড়াই কোটি ডলার পাচার করেছেন লবিস্ট নিয়োগে! প্রমাণ গোয়েন্দাদের হাতে

জামায়াত নেতা মীর কাশেম আলীর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের সুস্পষ্ট প্রমাণ পেয়েছে একটি গোয়েন্দা সংস্থা। জামায়াতের এই নেতা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে একটি বিদেশী লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছেন। ফার্মের পাওনা মেটানোর জন্য তিনি দেশের প্রচলিত আইন লঙ্ঘন করে সিটি ব্যাংক-এনের মাধ্যমে ২৫ মিলিয়ন ডলার পাচার করেছেন। গোয়েন্দা সংস্থাটি তথ্যপ্রমাণসহ এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট সরকারের কাছে জমা দিয়েছে।

সরকারের কাছে জমা দেয়া রিপোর্টে বলা হয়, যুদ্ধাপরাধী হিসেবে অভিযুক্ত জামায়াত নেতাদের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে আন্তর্জাতিক লবিস্ট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের পৰে জামায়াত নেতা মীর কাশেম আলী 'আমেরিকান ক্যাসেডি এ্যান্ড এ্যাসোসিয়েটস আইএনসি ৭০০' নামের একটি কনসালটেন্সি ফার্মের সঙ্গে চুক্তি করে লবিস্টের দায়িত্ব দিয়েছেন। কলম্বিয়ার আইন অনুযায়ী ফার্মটির সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করা হয়েছে। লবিস্ট নিয়োগের ধারাবাহিকতায় মীর কাশেম আলী ২০১০ সালের ১০ মে ক্যাসেডি এ্যান্ড এ্যাসোসিয়েটস আইএনসি ৭০০ (ঠিকানা : থার্টিন স্ট্রীট, এনডব্লিউ সুইট ৪০০, ওয়াশিংটন ডিসি-২০০০৫, ইউএসএ)-এর সঙ্গে ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে চুক্তিবদ্ধ হন। চুক্তিনামায় ফার্মটির পৰে এন্ড্রু জে. ক্যামেরম্নজ এবং লবিস্ট নিয়োগকারীর পৰে মীর কাশেম আলী স্বাৰর করেন। চুক্তি অনুযায়ী ৬ মাসের জন্য কনসালটেন্সি ফার্মটিকে নিয়োগ দেয়া হয়। ফার্মটির নিয়োগের মেয়াদ ছিল ২০১০ সালের ৬ অক্টোবর থেকে ২০১১ সালের ৫ এপ্রিল পর্যনত্ম। চুক্তি অনুযায়ী ক্যাসেডি এ্যান্ড এ্যাসোসিয়েটসকে সিটি ব্যাংক-এনের ৩০৭১৭২৪৮ নম্বর এ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা পরিশোধ করা হয়। মানি লন্ডারিং নীতিমালা অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ছাড়া কোন অর্থ বিদেশে পাঠানো হলে তা মুদ্রা পাচার হিসেবে বিবেচিত হবে। সেই হিসেবে মীর কাশেম আলী কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি ছাড়াই ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশে পাচার করেছেন।

রিপোর্টে বলা হয়, সংশিস্নষ্ট ফার্মকে মীর কাশেম আলী দেশবিরোধী অনেক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছেন। কনসালটেন্সি ফার্মটির মক্কেল মীর কাশেম আলীর পৰে আমেরিকান কংগ্রেস, সিনেট সদস্য এবং ইউএস প্রশাসনের প্রধান সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের জন্য সম্পৃক্ত থাকবে। একই সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার বৈদেশিক নীতির বিষয়ে মতামত দেবে ফার্মটি। ক্যাসেডি এ্যান্ড এ্যাসোসিয়েটস ফার্মটির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে মীর কাশেম আলী অতিরিক্ত আরও ৬ মাসের জন্য চুক্তিবদ্ধ হতে পারবে। সে অনুযায়ী ইতোমধ্যে আরও ৬ মাসের জন্য পুনরায় ফার্মটির সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী আরও ২৫ মিলিয়ন বা ২ কোটি ৫ লাখ ডলার অবৈধভাবে দেশের বাইরে পাঠানো হয়েছে বলেও জানা গেছে। রিপোর্টে মীর কাশেম আলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। এসব অভিযোগের বিষয়ে মীর কাশেম আলীর বক্তব্য নেয়ার জন্য তার সঙ্গে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।

দ্রষ্টব্য: উপরোক্ত সংবাদটি "দৈনিক জনকন্ঠের সৌজন্যে।

পাদটিকা: এই রাজাকার কাশেমের বিরুদ্ধে ৭১ এ নানা অপকর্ম, হত্যা, গুম সহ বিভিন্ন অপরাধের প্রমান বর্তমান মানবতাবিরোধী অপরাদ ট্রাইবুনালের কাছে আছে। এই কাশেম হল জামাতের "ক্যাশ বাক্স" এর বর্তমানে রিয়েল এষ্টেট ব্যবসা "কেয়ারী হাউজিং" দিগন্ত টেলিভিশন, নয়াদিগন্ত পত্রিকা সহ নানাবিধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়া নামে-বেনামে আরোও বিভিন্ন সংস্থায় তার ডিপোজিট ও বিনিয়োগ আছে। যার কারনে সে হল "ধনকুবের"। এই ধন কুবের জামাতের এক নম্বর ফান্ড পরিচালনাকারী