মাননীয় উচ্চ আদালতের সাম্প্রতিক কিছু রায়কে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে,বিতর্কিত করা হচ্ছে।অনেকে প্রকাশ্যে নানান ভাষায় এসব অনেক রায়ের সমালোচনা করে,তা না মেনে নেয়ার প্রকাশ্য ঘোষনাও দিচ্ছেন।এতে করে দেশের উচ্চ আদালত সমন্ধে মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে।আদালতের ভাবমূর্তির ক্ষতি হচ্ছে।আদালতের প্রতি মানুষের আস্থাহীনতা বলীয়ান হচ্ছে।এব্যাপারে মাননীয় উচ্চ আদালতের যথাযথ ব্যাখ্যা দরকার,যথাযথ ব্যাবস্থায় যাওয়া দরকার এবং আদালতের ভাবমূর্তির স্বার্থে,আদালতের রায়ের প্রতি এমনতর শ্রদ্ধাহীনতার অবসান করা দরকার। অন্যথায় মানুষের শেষ ভরসাস্থল,দেশের বিচার ব্যাবস্থা ভেঙ্গে পড়বে, আদালতের ভাবমূর্তি সংকটাপন্ন হয়ে পড়বে এবং দেশ এক নৈরাজ্যকর অবস্থায় পতিত হবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রশ্নে মাননীয় উচ্চ আদালতের রায়কে অনেকেই স্ববিরোধী বলে প্রশ্নবিদ্ধ করে নানান বিতর্কের সৃষ্টি করছেন।অনেকেই ইহাকে সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে সরকার প্রভাবিত রায় বলেও,আখ্যায়িত করছেন।এমনতর কথাগুলো আদালতের জন্য অবমাননাকর।এ ব্যাপারেও মাননীয় আদালতের তড়িৎ ব্যাখ্যা দরকার।
আদালতের এমন রায়ের পর,যত সমালোচনাই হোক না কেন সরকারের তা না মেনে চলার কোন উপায় নাই।মূল রায়ের অবজারভেশন/ব্যাখ্যা অনুযায়ী,পরবর্তী দুইটি নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি বহাল রাখার ব্যাপারেও,প্রধান বিরোধীদল বিএনপি আলোচনায় বসায় রাযী না হলে,একক ভাবে সরকারি দল,এ প্রসঙ্গে যা কিছুই করুক না কেন,বিএনপি তা মেনে নিবে না এবং তাদের কাছে তা প্রশ্নবোধক থেকে যাবে।বিএনপি'র অবস্থানটা এমনই।এমতাবস্থায় মাননীয় উচ্চ আদালতের রায় মোতাবেক ব্যাবস্থা নেয়া ছাড়া,সরকারি দলের আর কি করতে পারে।অতঃপর দ্বন্ধ-সংঘাত অনিবার্য।
এ প্রসঙ্গে কেবলমাত্র মাননীয় উচ্চ আদালতের সঠিক ব্যাখ্যা এবং দৃঢ় অবস্থানই পারে, সম্ভাব্য এই দ্বন্ধ-সংঘাতময় অবস্থার কিছুটা হলেও হাল্কা করে দিতে।