“মূর্খ বন্ধুর চেয়ে শিক্ষিত শত্রু অনেক ভালো”-এই মর্মে একটি কথা আছে।ব্যাখ্যা বোধ হয় এমন যে বন্ধু হলেও একজন মূর্খ যে কোনো সময় যে কোনো পর্যায়ে নেমে যেতে পারে।কিন্ত শত্রু হলেও,একজন শিক্ষিত মানুষ সাধারনত তার শিক্ষার কারনে হলেও, একটা সীমারেখা বজায় রাখবে।এর নীচে আর নামতে পারবেনা বা নামবে না।ভূমিকাটার কারন বলছিঃ
বিগত জোট আমলে সাবের হোসেন চৌধুরীর মতো আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে দেয়া হলো ফেরিতে ভাত খাওয়ার প্লেট চুরির মামলা!! সাবেক বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল জামাল উদ্দিনকে হয়রানি করা হলো একটি ঘড়ি ছিনতাই এর মামলা দিয়ে!!এমন হীনতায় সংশ্লিষ্টরা শুধু নিজেদেরকেই হেয় করেন নাই, হেয় এবং নোংরা করেছেন আমাদের রাজনীতিকেও ।দেশের মানুষ আশা করেছিলো দিন বদলে দেয়ার অঙ্গীকার নিয়ে ক্ষমতায় আসা এই সরকার,এমনতর হীন নোংরামির ও অধঃপতিত অবস্থা থেকে আমাদের রাজনীতিকে তুলে আনবে।
কিন্ত দেশের মানুষের সে আশায় গুড়ে বালি দিয়ে এই সরকার ও হাঁটছে সেই হীন-নোংরা রাজনীতির পথেই।খবরে প্রকাশ,বিএনপি নেতা এহশানুল হক মিলনের বিরুদ্ধে দেয়া হয়েছে ভেনেটি ব্যাগ ছিনতাই এর মামলা!!জামায়াত নেতা মাওলানা নিজামী-মজাহিদ-সাঈদি এবং বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে দেয়া হয়েছে, হরতালে গাড়ী পোড়ানোর মামলা!! ৭১ এর কুখ্যাত এই নিজামি-মুজাহিদ-সাঈদি-সাকা গংরা এদেশের মানুষের কাছে নরকের কীটের মতো ঘৃণিত।কিন্ত তাই বলে হরতালের দিনে তারা নিজেরা,যানবাহনে আগুন দিয়েছে, মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে,ভাংচুর করেছে-এই কথাগুলো কোন সুস্থ মনা মানুষের ভালো লাগবে না। কেননা পরম শত্রুর বিরুদ্ধেও নীচে নামার একটা সীমা আছে।
বিগত হরতালে একই রকম মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে বিএনপি নেতা মেজর হাফিজ ও আলতাফ হোসেন চৌধুরীকেও। অবাক করার বিষয় এর জন্য তাদেরকে আবার রিমান্ডে নেয়ার চেষ্টাও করা হয়েছে!!এটা কি মেনে নেয়ার মতো কোন ব্যাপার যে, মেজর হাফিজ এবং আলতাফ হোসেন চৌধুরীর মতো নেতা বা একজন মানুষ,হরতালে গাড়ী ভাংচুর করেছে?বা যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করেছে?
প্রতিপক্ষ দমনে এমনতর হীনতা ও নোংরামি থেকে বেরিয়ে আসার মতো শুভবোধ আমাদের রাজনীতিকদের কি কোনোদিন হবেনা ??
মোসাদ্দিক উজ্জ্বল বলেছেনঃ
আপাতত মনে হচ্ছে আপনার প্রশ্নের উত্তর ” না”
বি এন পি কিংবা লীগ যেই দলকেই আপনি বলুন না কেন তারা সরকারে থাকলে এক রুপ দেখায়, আবার বিরোধী দলে গেলে অন্য রুপ। গেল সরকারের সময় এমন কিছু মামলা আমরা দেখেছি যেই গুলী ৩ বছরের শিশুটি ও শুনলে ও হাসবে। এবার ও তাই দেখছি।
Rafiq বলেছেনঃ
লেখকের সাথে সহমত ।
তবে আগামী পঞ্চাশ বছরেও এর ব্যতিক্রম হবে বলে বিশ্বাস হয় না। তবে নেপোলিয়নের মত কারো আভির্ভাব হলে সেটা ভিন্ন কথা।
আমাদের দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন করতে হলে, অনেক কিছুরই পরিবর্তন করতে হবে।
যেমন,,,
যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে স্কলারশীপ শিক্ষকদের। এমনকি প্রইমারী স্কুল থেকে শুরু করে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ পর্যন্ত A+ পাওয়া ছাএদেরকে নিয়োগ দিতে হবে । অবশ্যই তাদেরকে সেই অনুপাতে পে স্কেল দিতে হবে।
আর যারা অপেক্ষাকৃত খারাপ রেজাল্ট করবেন, তারা চাকুরী করবে বেসরকারী / প্রাইভেট সেক্টরে।
বর্তমানে চাকুরীর ক্ষেত্রে মেধাভিত্তিক বিধান থাকলেও অর্থের কাছে সব পণ্ডু হয়ে যায়।
প্রত্যেক সরকারী কর্মচারীদের আয়-ব্যয়র হিসাব দিতে হবে।
যে কোন স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে নূ্ন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে। যেমন , ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কমপক্ষে B.A পাশ , মেম্বার কমপক্ষে I.A পাশ, সংসদ সদস্য কমপক্ষে Master With A Grade for all Exam ইতি ইত্যাদি …… তবেই আস্তে আস্তে দেশের সার্বিকভাবে পরিবর্তন সম্ভব।
কিন্তু বর্তমানে আমাদের দেশের প্রধান দুই দলের প্রধানগন একজন প্রাথমিক অবস্থায় ৮ম শ্রেনী পাশ আর অন্যজন প্রায় ডজন খানেক তথাকথিত ডিগ্রীধারী।
একজন উওর মেরূ অন্যজন দক্ষিন মেরূ। কাজেই আমাদের দেশটা নাতিশীতোষ্ণ হলেও , একবার বরফ আরেকবার প্রচন্ড তাপদাহে জনগনের জীবন নাশ!