প্রসঙ্গ: কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দূর্নীতি তদন্তে পূর্বানুমোদনের বিধান

মোঃ হাসেম
Published : 27 June 2011, 12:12 PM
Updated : 27 June 2011, 12:12 PM

সরকারি কর্মকর্তাদের দূর্নীতি তদন্ত এবং তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে , সরকারের পূর্বানুমোদনের প্রয়োজন নেই বলে এতদসংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির মতামতের সাথে,ভিন্নমত পোষন করেন, এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী । মাননীয় মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দূর্নীতি তদন্তে সরকারের পূর্বানুমতি ও পূর্বানুমোদনের বিধান রাখার পক্ষে।(সূত্র- বাংলাদেশ প্রতিদিন এবং প্রথম আলো,২৭-৬-১১)। উল্লেখ্য,এর আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সরকারি কর্মকর্তাদের বেলায়,এই পূর্বানুমোদনের বিধানের পক্ষে কথা বলেছেন।

এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন- বেসরকারি দুর্নীতিবাজ কারা মাননীয় মন্ত্রী এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ?

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দূর্নীতি তদন্তে যদি সরকারের পূর্বানুমতির বিধান রাখা হয়, তাহলে প্রশ্ন-কাদের দূর্নীতি তদন্তের জন্য এই দূর্নীতি কমিশন ? বেসরকারি দুর্নীতিবাজ কারা?বেসরকারি দুর্নীতিবাজ যদি কেঊ থেকেও থাকে, তাহলেও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংশ্লিষ্টতা ছাড়া,সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভাগবাটোয়ারা দেয়া ছাড়া বেসরকারি কারো দূর্নীতি-লুটপাট করার অবকাশ কোথায়?
খবরে প্রকাশ,স্বাধীনতার পর এ এপর্যন্ত,দেশে আসা দুই লক্ষ কোটি টাকার দান-অনুদানের ৭৫ ভাগই হয়েছে লুটপাট। কারা করেছে এই লুটপাট?এই লুটপাটে বেসরকারি কেঊ যদি জড়িত থেকেও থাকে, সেক্ষেত্রেও এই বেসরকারি লুটেরা-দুর্নীতিবাজদের ধরার এবং দমন করার দায়দায়িত্ব তো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরই।যার জন্য রাষ্ট্রীয় বেতন-ভাতাদিতে তারা লালিত-পালিত।

খবরে আরো প্রকাশ,২০০৪ সালে সরকারি বিভিন্ন সংস্থা,দপ্তর-অধিদপ্তরে ঘুষ লেন-দেন এর পরিমান ১৫ হাজার কোটি টাকা।কারা নিয়েছে এই ঘুষের টাকা? বেসরকারি কেঊ কি ? আরো কথা হলো,বেসরকারি লুটপাট,বেসরকারি ঘুষ বানিজ্য,বেসরকারি দূর্নীতি ইত্যাদিতে দেশের মানুষের তেমন কিছুই আসে যায়না।দেশের মানুষের মাথা ব্যাথার কারন সরকারি এবং রাষ্ট্রীয় টাকা, তাদের তথা দেশের টাকা।সরকারি এবং রাষ্ট্রীয় টাকা ও সম্পত্তি,এগুলি যারা লুটপাট করে তারা বেসরকারি কেঊ নয়।বেসরকারি কারো সরকারি টাকা ও সম্পত্তি লুটপাটের সুযোগ নাই।থাকলেও সরকারি লোকদের যোগসাজস ছাড়া কোন অবস্থাতেই নয়।

এখন নানান ধরনের শর্তারোপ করে যদি দূর্নীতির মূল ক্যান্সার-দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তাদের পক্ষে দাঁড়ানো হয়,তাহলে জনগনের টাকায় এই দূর্নীতি কমিশন পালার আর কোন দরকার নাই।