খালেদা ও আমিনীর-একই বক্তব্য এবং আদালতের পর্যবেক্ষণ

মোঃ হাসেম
Published : 3 August 2011, 07:21 AM
Updated : 3 August 2011, 07:21 AM

আদালত বলেছেন, 'সার্বভৌমত্বের প্রতীক হচ্ছে সংবিধান। এ নিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা ও আমিনীর বক্তব্যে পার্থক্য খুবই অল্প। আমিনীর বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহমূলক হলে বিরোধীদলীয় নেতার বক্তব্যও অনুরূপ। সংবিধান ছুড়ে ফেলে দেওয়া বা ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়ার মতো ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য আমরা কোনো অবস্থায় সহ্য করব না।'যথার্থই বলেছেন মাননীয় আদালত।একই কথা আমিনী বললে অপরাধ আর খালেদা জিয়া বা তারেক জিয়া বললে অপরাধ নয়-এ কেমন কথা!!আদালতে নজিরবিহীন নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী আইনজীবীদের কাছে সবিনয়ে জিজ্ঞাসা-মাননীয় আদালতের পর্যবেক্ষণে,খালেদা জিয়ার বদলে যদি অন্য কারো নাম আসতো তাহলে তারা কি একই ভূমিকায় অবতীর্ন হতেন?খালেদা-হাসিনা আর তারেক-জয় রা সব কিছুর ঊর্ধ্বে,তাদের কোন অপরাধ নাই,তদের কোন ভুল নাই,থাকলেও তা বলা যাবেনা-এটা কেমন কথা!!খালেদা-হাসিনা এবং তারেক-জয়দের নিয়ে আমাদের অতি আবেগি এবং অতি মোসাহেবি এই অসুস্থ মানসিকতা ও দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন দরকার। খালেদা-হাসিনারা নির্বাচন কমিশন মানবেননা,আইন-আদালত মানবেননা,তাদের মতো করেই চলবেন ও বলবেন-তা হতে পারেনা,চলতে দেয়া যায়না।

সংবিধান নিয়ে অবমাননাকর এবং ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্যের কারনে আমিনীর যদি অপরাধী হয়,তাহলে একই ধরনের বক্তব্যের কারনে খালেদা জিয়া অথবা যেই হোক,সমান অপরাধী।
এব্যাপারে মননীয় আদালতের যথাযথ দৃঢ় ও সাহসী ভূমিকা রাখা দরকার এবং একারণে আদালতে ন্যাক্কারজনক নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধেও দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া দরকার,যাতে করে ভবিষ্যতে আদালতে এ ধরনের অপকর্মের পুনরাবৃত্তি ঘটানোর সাহস আর কেউ না পায়।