নাসিক নির্বাচন এবং শেখ হাসিনার জন্য আরো একটি বার্তা

মোঃ হাসেম
Published : 1 Nov 2011, 09:14 AM
Updated : 1 Nov 2011, 09:14 AM

খবরে প্রকাশ নাসিক নির্বাচনে শেখ হাসিনার নির্দেশে,দলীয় প্রার্থী শামীম ওসমানের প্রধান সমন্বয়কারী ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম মেম্বার কাজী জাফরুল্লাহ এবং অন্যতম পরামর্শদাতা ছিলেন কাজী জাফরুল্লাহ,ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন এবং মাহবুবুল আলম হানিফ প্রমূখরা।টিবি পর্দায় দেখা গেছে,শামীম ওসমানের পক্ষে মাঠে প্রচারনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন কাজী জাফরুল্লাহ,হাসনাত আব্দুল্লাহ,মোফাজ্জল হোসেন চৌধরী মায়া প্রমূখরা।এর আগে হবিগঞ্জের উপনির্বাচনেও শেখ হাসিনার পছন্দে,দলীয় প্রার্থীর প্রধান সমন্বয়কারী ছিলেন এই কাজী জাফরুল্লাহ সাহেব।ফলাফল কি হয়েছে তা সবারই জানা।এই সব জনভিত্তিহীন নেতাদের প্রচারে যে কোনো কাজ হয়না এবং ভবিষ্যতেও যে হবেনা এটা আওয়ামী হাইকমান্ডে বুঝতে পারা উচিৎ।কেননা শেখ হাসিনার একক পছন্দে্র এই সব নেতাদের জনমানূষতো দূরের কথা,দলীয় নেতা কর্মীদের মাঝেও কোন গ্রহনযোগ্যতা নাই।কোন আন্দোলন-সংগ্রামে জনগনের কাতারেতো দূরের কথা,দলীয় কোন কর্মকান্ডেও তাদের অনেককেই কোনদিন দেখা যায়নি।এমনকি ২০০৮/৯ এর পূর্বে,এদের অনেকের নামও খুব একটা কেউ শোনেনি।আন্দোলন-সংগ্রামে এবং দলীয় কর্মকান্ডে কারো কারো ভূমিকা থাকলেও,এরা অনেকেই জনমানূষের কাছে ভয়ংকরভাবে প্রস্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত।

শেখ হাসিনার পছন্দের এই সব আগুন্তক এবং বিতর্কিত নেতারা যখন দলীয় বার্তা নিয়ে মাঠে নামে,তখন তা দলের তৃনমূল পর্যায়ের কর্মী-নেতাদের,তথা জন মানূষকে ভয়ংকরভাবে প্রস্নবিদ্ধ করে।প্রস্ন জাগে-রাজ্জাক-তোফায়েল-আমু-সুরঞ্জিত-নাসিম প্রমূখদের মতো জননন্দিত নেতাদের বাদ দিয়ে্‌,কাজী জাফরুল্লাহ,ইউসুফ হোসেন হুমায়ূনদের মতোরা কি করে দলের প্রেসিডিয়ামে জায়গা পেয়ে যায়?মাহবুবুল আলম হানিফের মতোরা কোথা থেকে উড়ে এসে কিসের বলে দলীয় নীতি নির্ধারকের আসনে বসে যায়?রাশেদ খান মেনন-হাসানুল হক ইনুর মতো নেতাদের বাদ দিয়ে, দিলীপ বড়ুয়ার মতো একজন কি করে মহাজোটের মন্ত্রী হয়ে যায়?মানূষের মনে প্রস্ন জাগে,মহানগর নাট্যমঞ্চে দরাজ গলায় 'জিয়া আমার বাবা, তারেক আমার ভাই' গান গেয়ে যুবদলের নেতা-কর্মীদের মাতিয়ে তুলেছিল যে মমতাজ, সেই মমতাজ কি করে আওয়ামী লীগের মহিলা কোঠায় এমপি হয়ে যায়? এ রকম আরো অনেক প্রস্নের হিসাব মানূষ মিলাতে পারেনা।

এতে করে মানূষের মাঝে ক্ষোভ ও ঈর্ষার সূত্রপাত হয়।দলিয় হাইকমান্ডের প্রতি বিরুপ প্রতিক্রিয়া এবং নীরব অনাস্থার সৃষ্টি হয়।ফল হয় হীতে বিপরীত। এবং কম-বেশি তাই হয়েছে সেই সুপ্রীমকোর্ট বার নির্বাচন থেকে আরম্ব করে পৌরসভা,ইউনিয়ন,উপনির্বাচন এবং পরিশেষে নাসিক নির্বাচনেও।

এখন শেখ হাসিনাকে ভাবতে হবে,উপলব্দি করতে হবে, তিনি কি এই জনভিত্তিহীন,আগুন্তক এবং কথিত 'হাইব্রিড' নেতাদের উপর নির্ভর করেই চলবেন, নাকি ডাঃ আইভির মতো জনপ্রিয় জনগ্রহনযোগ্য নেতাদের বেছে নিবেন।সব শেষে নাসিক নির্বাচন শেখ হাসিনা্র প্রতি এই বার্তা এবং এই সতর্কবানীই যেন পৌঁছে দিয়েছে।