জনপ্রিয় তারকা নেতাদের মূল্যায়ন-একটি সঠিক পদক্ষেপ

মোঃ হাসেম
Published : 21 Dec 2011, 05:27 AM
Updated : 21 Dec 2011, 05:27 AM

খবরে প্রকাশ অনেক দেরীতে হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,তার দলের জনভিত্তিসম্পন্ন তারকা নেতাদের যথাযথ মূল্যায়ন করার সঠিক কাজটি করতে শুরু করেছেন। তিন বছর আগে তার(শেখ হাসিনার) বিতর্কিত উক্তি -"ক্ষমা করে দিয়েছি,তবে ভুলিনি"-এই অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। যদিও যে কারনে এবং যাদের লক্ষ করে তার সেই উক্তি,ক্ষমা করে দেয়ার মতো কিছুই তারা করেন নাই। তারা যা করেছিলেন তা ছিলো তখনকার সময়ের দাবিতে,আওয়ামীলীগের বৃহত্তর স্বার্থে সঠিক পথেই ছিলেন। ইতিমধ্যেই শেখ হাসিনা সিপিবি নেতৃবৃন্দের সাথেও বৈঠক করেছেন। ১৪ দলের নেতাদের সাথে বসেছেন।আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলীয় জোটের সাথে যুদ্ধাপরাধ বিচার ইস্যুতে ঐক্যতা ও যৌথ কর্মসূচির সিদ্ধান্তও হয়েছে।। এগুলি দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা তথা আওয়ামীলীগের জন্য প্রাজ্ঞতার পরিচায়ক। শেখ হাসিনা আরো ভাল করবেন,তিনি যদি,ডঃ কামাল হোসেন,কাদের সিদ্দিকী,আ স ম রব এর মতো আমাদের স্বাধীনতার উজ্জ্বল নক্ষত্রদের ও যথাযথ সন্মানের সহিত কাছে টেনে নেন। যথাযথ সন্মান ও ভালবাসা দিয়ে তাদেরকেও জয় করে নেন। মনে রাখা দর কার,তাদের দল যত ছোটই হোকনা কেন,নানান কারনে তাদের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থান যাই হোকনা কেন,জনমানূষের কাছে তাদের একটা ব্যাক্তি ইমেজ আছে। আমাদের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে তাদের একটা অভিস্মরনীয় এবং অতুলনীয় ভূমিকা আছে। যার আংশিকও, বর্তমানে দল ও সরকারে,শেখ হাসিনার অতি পছন্দের অনেকের নাই। সর্বোপরি তাদের শরীর জুড়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ছোয়া আছে,গন্ধ আছে। যার মূল্য অন্ততঃ শেখ হাসিনার কাছে অপরিসীম। আরো মনে রাখা দরকার,আমাদের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ তথা বঙ্গবন্ধুর আলোতে আলোকিত এই মানূষগুলি শেখ হাসিনার পাশে বসলে,তাদের উজ্জলতা শেখ হাসিনাকেও আরো বেশি করে আলোকিত করে।

এ প্রসঙ্গে এরশাদকেও যথাযথ সন্মানের সহিত সাথে রাখা দরকার। ২০০০ সালে এরশাদকে জোর করে দূরে ঠেলে দেয়া ছিলো আওয়ামীলীগের জন্য একটি বড় ধরনের ভুল। তা না করা হলে ২০০১ এর নির্বাচনে আওয়ামীলীগকে ক্ষমতা হারাতে হতোনা। মার্জিনাল ভোটে পরাজিত অনেক গুলি আসন আওয়ামীগের হয়ে যেতো। আমাদের রাজনীতির এই কঠিন বাস্তবতাকে অবজ্ঞা করে,যারা জিয়াউর রহমান ও তার দল কে বাদ দিয়ে কেবলমাত্র এরশাদ ও তার দলের মধ্যে স্বৈরাচারের গন্ধ পান,তাদের কথায় কান দেয়ার কোন যুক্তি নাই। কেননা যে কারনে এরশাদ স্বৈরাচার এবং তার দল স্বৈরাচারের দল,সেই একই কারন জিয়াউর রহমান এবং তার দলের বেলাতেও সমানভাবেই প্রযোজ্য।