টিপাইমুখ প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ ক্রয়ের সরকারের প্রস্তাবের অর্থ দাঁড়ায় বাংলার ১৬ কোটি মানুষের বিরোধীতা স্বত্ত্বেও বাংলাদেশের জন্য দ্বিতীয় মরণ ফাঁদ টিপাইমুখ বাঁধকে বৈধতা দেয়া। দেশপ্রেমিক জনগন এ তোঘলকি সিদ্ধান্ত কখনই মেনে নেবে না এবং মেনে নিতে পারেও না।
একই ভাবে রাজধানী ও আশেপাশের এলাকায় উন্নত আবাসন ব্যবস্থা এবং অগ্রগতির কল্পিত সোপানের চানক্য স্বপ্নে বাংলাদেশের জনগণকে বিভোর করে দেশের আবাসন প্রতিষ্ঠানসমূহের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করে পারিবারিক ও গোষ্ঠির পকেট ভারী করার উদ্দেশ্যে 'সাহারা' কে রাজধানীর চর্তুপাশ ঘিরে আবাসন গড়ে তোলার জন্যে জমি প্রদানের যে ইচ্ছা বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে ব্যক্ত করা হয়েছে তা 'খাল কেটে কুমির আনার' শামিল হবে এবং মি. সুব্রত রায় চৌধুরী বাংলাদেশের নতুন ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর মোড়কে ভারত-ইন্ডিয়া কোম্পানীর খলনায়ক হিসেবে আমাদের জমির উপর দখলদারী করার পরিকল্পনা পাকাপোক্ত করার লক্ষে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নিকটাত্মীয় মি. ফাহিমকে প্রকল্প উপ-পরিচালক নিয়োগ দিয়েছেন। যার ফলে আশংকা দেখা দিয়েছে যে, আড়াই শত বছর পূর্বে ব্যবসা করতে আসা ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর হাতে যেমনই বাংলার স্বাধীনতা বিপন্ন হয়েছিল তেমনি অবস্থাই একসময় দাঁড়াবে। আমরা বিশ্বাস করি 'কাঁচা হোক তবু ভাই নিজেরই বাসা; নিজ হাতে গড়া মোর কাঁচা ঘর খাসা'।
এমনিতেই ভারতকে ট্রানজিট প্রদানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণ। এতদসত্ত্বেও বাংলাদেশ-ভারত অভ্যন্তরীণ নৌ-পথ অতিক্রম ও জলবাণিজ্য প্রটোকল বিদ্যমান। বিদ্যমান এই প্রটকল অনুযায়ী ভারতের এক অংশ থেকে অন্য অংশে মালামাল আনা নেয়ার সুযোগ রয়েছে। তাকে ভারতীয় ইচ্ছানুসারে নৌ-সড়ক, রেলপথ ও সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের সুযোগ রেখে 'আন্তঃদেশ পরিবহন চুক্তিতে' পরিণত করার যে গোপন আয়োজন ভারতপ্রেমী হাসিনা সরকার করছে আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। কারণ, কোন চুক্তিতেই আমরা তেমন কোন সুবিধা পাইনি। কেবল দিয়েই যাচ্ছি। তাই ভারতের সাথে আর কোন নতুন চুক্তি নয়, কারণ ইতিপূর্বে যতগুলো চুক্তি হয়েছে কোন চুক্তিই আমাদের জাতীয় স্বার্থে কাজে লাগেনি। বরং আমাদের সার্বভৌমত্ব হুমকির মধ্যে পতিত হয়েছে। এমন অবস্থায় দেশপ্রেমিক সকল নাগরিকদের একসাথে ইস্পাত কঠিন ঐক্যবদ্ধের মাধ্যমে ভারতকে না এবং দেশের স্বার্থে যেকোন আন্দোলনে হ্যাঁ বলার মানসিকতা ও প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।