১০ই জুলাই: সাবেক রাষ্ট্রদূত ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান গণমাধ্যমে স্বাক্ষাতকারে বলেছেন, ২০১২ সালের ডিসেম্বরের দিকে নিজ দলের কাউন্সিল হবে। সর্বশেষ ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে বিএনপির কাউন্সিল হয়েছে। আওয়ামী লীগের কাউন্সিল বিএনপির আগে হয়েছে। আমাদের আগামী কাউন্সিলে দলের বিভিন্ন মেয়েদের দলের বিভিন্ন কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে অগ্রাধিকার দেবে। ২০২০ সাল নাগাদ বিএনপির সব কমিটিতে ৩১ শতাংশ নারীকে জায়গা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
তার এই বক্তব্যকে ধন্যবাদ জানাই "পৃথিবীতে যা কিছু কল্যাণকর, অর্ধেক তার সাজিয়েছে নারী- অর্ধেক তার নর", ইতি পূর্বে বিএনপির কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জেলায় সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নারী নেতৃত্বকে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে, যেমন বরিশাল জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন – সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট বিলকিস জাহান শিরীন, চাপাই নবাব গঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক বর্তমান সংসদ সদস্য এডভোকেট আসিফা আশরাফি পাপিয়া এমপি, নির্বাহী কমিটিতেও উল্লেখ যোগ্য প্রতিনিধি রয়েছে নারী। তবে তা শতাংশের হিসাব করলে দশ শতাংশও হবে না। যে টুকু নারী নেতৃত্ব আছে, তাদের সাংগঠনিক জেলা গুলোতে অভ্যন্তরীন কোন্দলও প্রকট। নারীদের নেতৃত্ব মানতে অনেকেই রাজী নয়। যদিও বিএনপির চেয়ারপার্সন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তিনিও নারী। তবে তার আপোষহীন নেতৃত্বের কাছে সকলেই শ্রদ্ধাশীল।
আগামী কাউন্সিলে যদি ৩১ শতাংশ নারীদের সকল কমিটিতে প্রতিনিধিত্ব করার অধিকার দেয়া হয় তা হবে বিএনপির জন্য রাজনৈতিক একটি বিপ্লব। বিগত কাউন্সিলের পূর্বে এমন অনেক ঘোষনা এসেছিল যা পরর্বতীতে কার্যকর হয় নি।
বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা আগামীতে ত্যাগই যোগ্যতা সম্পন্ন ও রাজ পথের পরীক্ষিত নেতা কর্মীদের মূল্যায়ন করা হবে।