ভালবাসায় ঠগবাজি এবং প্রাচ্য ভাবনা

মুনকির নাঈম সানি
Published : 14 Sept 2012, 07:32 AM
Updated : 14 Sept 2012, 07:32 AM

এক .

যে কোন ব্যক্তিই ঝুটা (আধখাওয়া) কোন কিছু খেতে চায় না । তেমনি জীবন সঙ্গী / সঙ্গিনীর ক্ষেত্রে সবাই ফ্রেশ ও ইন্ট্যাক্ট কাউকেই প্রত্যাশা করে । বাস্তবতা হল দির্ঘমেয়াদি সঙ্গীর সাথে একত্রে ঘর বাঁধার পূর্বেই আমরা ঝুটা হয়ে যাই । কোন মেয়ে বা ছেলের পূর্ববর্তী শারীরিক সম্পর্ক নিরূপণ করা যায় তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনকালে । ভালবাসা সম্পর্কিত আচরণগুলো খেয়াল করলে তার পূর্ববর্তী মানসিক সম্পর্ককেও নিরূপণ করা যায় যদিও প্রায় সবাই নতুন সঙ্গীর নিকট অতীত সম্পর্ক অস্বীকার করে নিজের ঝুটা হয়ে যাওয়াকে আড়াল করতে চায় । তদাপি পূর্ববর্তী শারীরিক সম্পর্ককে কেউ অভিনয় এবং অস্বীকার দ্বারা আড়াল করে রাখতে পারে না । কারণ, অতীতের প্রকট চিহ্ন তার শরীরে থাকে । কিন্তু, পূর্ববর্তী মানসিক সম্পর্কের ছাপ ব্যাক্তির মনের মধ্যে থাকলেও ব্যাক্তি তা নির্দ্বিধায় অস্বীকার করে ।

*বক্তব্যটি প্রাচ্যের প্রেক্ষাপটে ।

দুই .

প্রাচ্যের মানুষগুলোর এই নিরন্তর কপটতা মনের মাঝে চরম বিরক্তি ও ক্ষোভের উদ্রেক করে । পাশ্চাত্যে ও উত্তরের মানুষদের মধ্যে অপরাধ করলেও সচ্ছতা এবং অপরাধ স্বীকারের ব্যক্তিত্ব বিদ্যমান । বিভিন্ন নোংরা বৈশিষ্ট্যের (সাম্রাজ্যবাদী উপনিবেশবাদ, শোষণ, দুর্বল পীড়ন, বহুগামিতা, অনান্তরিকতা, অসামাজিকতা প্রভৃতি ) কারণে যদি আমরা তাদেরকে নির্দয় ডাকাত হিসেবে বিবেচিত করি তবে প্রাচ্যের মানুষগুলোকে অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে ধুরন্ধর ঠগবাজ হিসেবে । প্রাচ্যের মানুষগুলো আসলে street thug জাতীয় ছিঁচকে চোর যারা কিনা ৩ দিন সিংহের ন্যায় বাঁচার চেয়ে ৩০ দিন পথকুকুরের ন্যায় বাঁচতে ভালবাসে । উভয় অঞ্চলের অধিবাসীগণই অপরাধী । কেউ বড় আর কেউ ছিঁচকে । ছোট অপরাধীদের যে সুযোগ হলে বড় অপরাধ সংঘটনের মানসিকতা নেই সে নিশ্চয়তা ও প্রত্যায়নপত্র আপনি দিতে পারেন না ।
প্রতারণা, মুখোশে ঢাকা বহুগামিতা, পর অর্থলোভ, পরশ্রীকাতরতা, প্রভৃতি নিচু মানের সংকীর্ণতায় সংকীর্ণ প্রাচ্যের প্রতিটি মনন ।

লেখনী ও লেখনীর স্বত্বাধিকার : মুনকির নাঈম সানি
*লেখকের অনুমতি ব্যতীত লেখার কোন প্রকার অংশ গ্রহণ এবং প্রকাশ করা যাবে না ।