ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থা (উচ্চ হারে সুদের কারবার) করে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব কিনা আমার জানা নাই। কিন্তু এ অসম্ভব কাজটি সম্ভব করেছেন(তিনি এবং অনেকেই দাবি করেন) ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ক্ষুদ্রঋণ সাময়িক ভাবে অভাবী হতদরিদ্র মানুষের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হলেও তা মানুষের অভাবত মেটাতে পারেই না, বরং তাকে দীর্ঘমেয়াদী অভাবী করে তোলে। সূদের কিস্তির টাকা শোধ করতে না পেরে দরিদ্র নারীকে জীবন দিতে হয়। এর প্রমাণ আমরা পত্রিকায় অনেকবারই দেখেছি।
একবার আমাদের এলাকায় এক সূদের কারবারিকে সালিশ ডেকে একঘরে করে রেখেছিলেন মাতব্বররা। কিছুদিন পর সে সূদের কারবার ছেড়ে অন্য ব্যাবসা শুরু করেন এবং সমাজ তাকে আবার গ্রহন করে নেয়। লোকিট এখন বলতেই পারেন, "আহা! সেদিন যদি সূদের কারবার ছাড়তে আমাকে বাধ্য না করতো আজ হয়তো শান্তিতে নোবেল আমিই পেতাম।
প্রিয় পাঠক, আামাকে ভুল বুঝবেন না। বাংলাদেশর কেউ নোবেল পেলে আপনার থেকে আমিও কম গর্ববোধ করবো না। কিন্তু খূন কের কেউ নোবেল পেলে মানতে পারিনা। বিবেক বাধা দেয়।
নোবেল কমিটি ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহেবকে অর্থনীতিতে নোবেল দেবার ব্যবস্থা করলে অনেকটা যুক্তিযুক্ত হত বলে আমি মনে করি।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের মালিকানার বিষয় উদ্বেগ প্রকাশ করলেও গ্রামীণ ব্যাংকের কারোনে দরিদ্র নারীকে জীবন দিতে হয় এ বিষয়ে তিনি কখনো উদ্বেগ প্রকাশ করেননি। ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহেব যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, আশাকরি সরকার সে বিষয়ে মনোযোগী হবেন। এবং এটাও নিশ্চিত করতে হবে, সূদের কিস্তির টাকা শোধ করতে না পেরে আর একজন দরিদ্র নারীকেও জীবন দিতে না হয়।