চিৎকার করে বলতে ইচ্ছা হয়, "ওরে আমরা কি তোদের বাঁচাতে পারতাম না?" সত্যি বড় নিষ্ঠুর আমরা, মৃত্যুর পর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেই। ফান্ড গঠন করি কোটি কোটি টাকার। অতিবর্ষণ, পাহাড়ি ঢল ও আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ দিলেই কি তারা ফিরে পাবে হারানো আপনজনকে ? না আপন মানুষ(বাবা, মা, ভাই, বোনকে) হারানোর যে ক্ষতি তা কখনও পূরন হবার নয়।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান ও সিলেটে প্রতি বৎসরই অতিবৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল, পাহাড়ধ্বস ও পানিতে ডুবে মৃত্যু হয় শত শত মানুষের। এটা এখন যেন নিয়ম হয়ে দাড়িয়েছে। এখানকার বসবাসকারীরাও এ কথা ভালোভাবেই জানেন। তারপরও সরকারের সতর্কতা শুনে তারা কেনো নিরাপদ জায়গায় অবস্থান করেন না এবং আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তা বোধগম্য নয়। হয়ত তাদের অন্য কোন পথ খোলা থাকেনা।
সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিভাগের প্রতি সবিনয়ে অনুরোধ করতে চাই, "ডাক্তার আসিবার আগেই রোগিটি মারা গেলো" – বাক্যটি যাতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান ও সিলেটের মানুষের জীবনে যেন বারবার সত্য হয়ে দেখা না দেয় তা নিশ্চিত করুন। ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্য দেওয়ার থেকে, বারবার যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হতে হয় সেদিকে ব্যবস্থা নেওয়াটাই দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিভাগের জন্য সঠিক ফলাফল বয়ে আনতে পারে। অন্তত শত শত মানুষের জীবন রক্ষা পায়। জেনে শুনে আত্মহত্যা করা থেকে রক্ষা পায় এক একটি তাজা সম্ভাবনাময় প্রাণ।