আশুলিয়ায় এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আশুলিয়ার ঢেউ নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত গিয়ে ধাক্কা খেয়েছে হয়ত তা আরো বিস্তৃতি ঘটত যদি না গার্মেন্টস গুলি বন্ধ করে দেয়া হত। এই সমস্যা অনেক আগে থেকে চলে আসছে । বিশেষ করে ২০০৭ সালে এই ঘটনা প্রকট আকার ধারন করে তখন আশুলিয়া, সাভার, তেজগাঁ, নারায়নগঞ্জ সহ প্রায় সব স্থানে বিক্ষোভ এবং দাঙ্গা ছড়িয়ে পরেছিল। মূলত আমাদের পোশাক শ্রমিকরা নিদারুণ কষ্ট করে এই শিল্পকে বাচিয়ে রেখেছে আর তাদের যদি আমরা না বাঁচতে দেই তাহলে আমাদের গার্মেন্টস কেন কোন কিছুই ঠিক থাকবে না । এমনিতেই দেশের অর্থনীতির বারোটা বেজে গেছে এখন যদি প্রধান রপ্তানি ঘাত এমন মুখ থুবড়ে পরে থাকে তাহলে এর খেসারত শুধু গার্মেন্টস শ্রমিকরা দেবে না তার সাথে মালিক সহ এই দেশকেই দিতে হবে । আমাদের গার্মেন্টস নিয়ে দেশী বিদেশী এজেন্টরা ষড়যন্ত্র করছে। গার্মেন্টস শিল্পে সরাসরি প্রায় ৬ মিলিয়ন শ্রমিক জড়িত আর তার সাথে নির্ভরশীল প্রায় ১০ মিলিয়ন মানুষ । তাই এই শিল্প নিয়ে শুরু হয়েছ ষড়যন্ত্র। ষড়যন্ত্রকারীরা জানে যদি বাংলাদেশের গার্মেন্টসকে ধ্বংস করা যায় তাহলে বাংলাদেশ নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সহজ হবে । তাই সেই ষড়যন্ত্রে আমরা যদি যোগ দেই তাহলে আমাদের ই ক্ষতি। আমাদের গার্মেন্টস মালিক এবং শ্রমিক ভাইদের বুঝতে হবে প্রতিযোগিতা মূলক বিশ্বে আমাদের টিকে থাকতে হলে অবশ্যই সবাইকে সহনশীল আচরন করেত হবে।
এখনই এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। এই সমস্যার একটাই সমাধান শ্রমিক , মালিক এবং সরকারকে একত্রে বসে ঠিক করতে হবে এই সেক্টর কিভাবে চলবে। শ্রমিকের যেমন ন্যায্য মজুরী দিতে হবে আবার মালিক এবং দেশের স্বার্থে শ্রমিককে অযৌক্তিক যে কোন আন্দোলন থেকে দূরে থাকতে হবে । মোট কথা সবাইকে নিয়ে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে । আমাদের মধ্যে যদি দেশ প্রেম থাকে তাহলে আমরা সবাই মিলে এই সমস্যার সমাধান করে দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করে আমাদের এই দেশকে সামনের দিকে নিয়ে যাব ইনশায়াল্লাহ ।