পদ্মা সেতু: মালয়শিয়ার প্রস্তাব মানবো কেন?

মুহাম্মদ আজিজুর রহমান
Published : 6 August 2012, 08:26 AM
Updated : 6 August 2012, 08:26 AM

পদ্মা সেতু নিয়ে মালয়েশিয়া যে প্রস্তাব দিয়েছে একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমি তা মানি না । এর আগে যে প্রস্তাব দিয়েছে তার থেকে খুব বেশী ছাড় দেয়নি মালয়েশিয়ার প্রতিনিধি দল। আগে সেতুর মালিকানা ৩০ বছর ছিল এখনো তাই আছে । আগে ৩০ বছরের মালিকানার সাথে পরের ১৫ বছর টোল তুলে নেয়ার প্রস্তাব ছিল এখন তা কমিয়ে ১০ বছর করা হয়েছে । মূলত মালয়েশিয়া একটা সুযোগ নিচ্ছে । আর সরকার যেহেতু বিশ্ব ব্যাংকের সাথে কোন সমঝোতা করতে পারছে না তাই যে কোন ভাবে পদ্মা সেতু নির্মানে ব্যাস্ত হয়ে পরছে । এতে যে দেশের আরো বেশী ক্ষতি হবে সে দিকে বিবেচনা করছে না । মালয়েশিয়ার আগের প্রস্তাবে বলা হয়েছিল পদ্মা সেতুর ৪০ কিলোমিটারের মধ্যে কোন সেতু নির্মান করা যাবে না এমন আরো অনেক শর্ত ছিল এবার তারা কি কি শর্ত দিয়েছে তা আমরা জানি না । মোট কথা মালয়েশিয়া হউক আর অন্য যে হউক সেতু বিষয়ে সব কিছু জানার অধিকার আমাদের আছে যেহেতু আমাদের কষ্টের টাকা দিয়ে সেতুর টাকা পরিশোধ করতে হবে অথবা সেতুর মালিকানা ছেড়ে দিতে হবে। এর আগে বিশ্ব ব্যাংক থেকে দূর্নীতির যে সব চিঠি দেয়া হয়েছিল তা প্রকাশ করা হয়নি । সরকার শুধু মুখে বড় বড় কথা বলে যাচ্ছে।

পদ্মা সেতু নিয়ে হাজারো নাটক হয়ে গেছে জনগন আর নাটক দেখতে চায় না । সরকারের ভুলের খেসারত সাধারন মানুষ কে দিতে হচ্ছে । আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজদের দেশ প্রেমিক বলা হচ্ছে। এরপর হয়ত এমন একদিন আসবে যখন সবচেয়ে বড় দূর্নীতিবাজই হবে দেশের সবচেয়ে বড় দেশ প্রেমিক আর সত্যিকারের দেশ প্রেমিকরা অবহেলায় ধুকে ধুকে টিকে থাকবে। এদেশে অনেক মেধাবী এবং গুনী লোক আছে তাদের মূল্যায়ন করা হয় না বরং দুর্নীতিবাজ আর চোরেরা এ দেশে রাম রাজত্ব কায়েম করেছে। তাই সাধারন জনগনের প্রতি আহবান আসুন কোন দলের কথা বিবেচনা না করে বাংলাদেশকে বাচাতে দুর্নীতিবাজ, চোর, বটপারদের উচিৎ শিক্ষা দেই অথবা অন্তত পক্ষে মনে মনে তাদের ঘৃনা করি যাদের জন্য আজ পদ্মা সেতু নিয়ে এত জটিলতা হচ্ছে । যাদের জন্য আজ এই অবস্থা তাদের একদিন অবশ্যই জনগনের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।