একমাস হল এম ইলিয়াস আলী নিখোজ তার কোন হদিস কেউ দিতে পারছে না। রাজনৈতিক অবস্থা ক্রমশ জটিল রূপ নিচ্ছে। মাঠ দখলের রাজনীতি আবার দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ইলিয়াস আলীকে কেন্দ্র করে পাচ দিনের হরতাল হয়েছে। ইলিয়াস আলীকে নিয়ে প্রধান দুই দলের ভিতর , বাহির কোন জায়গায় সংলাপ দূরে থাকুক সামান্য আলোচনা টুকু নেই। এর প্রধান কারন প্রধান দুই দলের মাঝে সামান্যতম কোন যোগাযোগ নেই। কেউ কাউকে সহ্য করতে পারে না। প্রতিটা বিষয়ে তাদের মাঝে এত মতবিরোধ যা পৃথিবীর কোন দেশে খুজে বের করা যাবে না । দুই দলের মাঝে এত বেশী বিরোধ যে একে অপরকে সমূলে বিনাশ করতে চায়। এই মানসিকতা মূলত দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। কেউ বুঝতে পারছে না এম ইলিয়াস আলী যদি ফিরে না আসে তাহলে ভবিষ্যতে আর কোন রাজনীতিবিদ নিরাপদ থাকবে না। যেই দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন ইলিয়াস আলীর গুমের খেসারত রাজনীতিবিদদেরই দিতে হবে। তাই এম ইলিয়াস আলীর ফিরে আসা দেশের জন্য রাজনীতিবিদদের জন্য তথা আপামর জনসাধারনের জন্য মঙ্গল।
ইলিয়াস আলীকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলের প্রতিবাদ , বিক্ষোভ , হরতাল চলছে। সরকার বিরোধী দলের আন্দোলন স্থিমিত করতে মামলা হামলা দিয়ে বিরোধী দলকে বেসামাল করে দিচ্ছে। গনতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থায় যে কোন দলের প্রতিবাদ , বিক্ষোভ হরতাল করার অধিকার আছে তেমন আছে বিরোধী দলের তবে তা কোন মতেই সহিংস হতে পারবে না । জামিন অধিকার আছে দেশের প্রতিটা নাগরিকের অথচ আদালত কোন এক অদৃশ্য চাপে সঠিক কাজ করতে পারছে না। সরকারের দায়িত্ব সব সময় বেশী থাকে। সরকারকে অবশ্যই ধৈর্যশীল হতে হবে। অহেতুক ঝামেলা না বাড়িয়ে বরং ধীর স্থির ভাবে সব সমস্যার সমাধান করতে হবে। অগনতান্ত্রিক কোন সরকার যেমন রাজনীতিবিদদের কাম্য নয় এমনকি দেশের সাধানন মানুষ তা চায় না , তবে এইভাবে চলতে থাকলে ১/১১ চেয়ে বড় কোন ঘটনা ঘটলে কেউ অবাক হবে না।
সাধারন জনগন দুই প্রধান দলের নীতিবাচক রাজনীতি আর দেখতে চায় না। ইলিয়াস আলীর মত কেউ নিখোজ হউক তা যেমন চায় না আবার সহিংস হরতাল চায় না । অহেতুক রাজনীতির উত্তাপ ছড়িয়ে আসলে কারো লাভ নেই। বিরোধী দলের যদি কোন ন্যায্য দাবী থাকে সরকার তা স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিলেই হয় , গনতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এটাই নিয়ম। তবে কেউ যদি ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে চায় তাহলে তার পতন হয় দ্রুত আর নিষ্ঠুরভাবে। অতীতে এমন অনেক পট পরিবতর্ন দেখা গেছে। এমনিতে চলমান বিশ্বে বিভিন্ন কারনে অস্থিরতা বিরাজ করছে , আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের সংকট চলছে তাই নতুন কোন সংকট যাতে সৃষ্টি না হয় তার দায়িত্ব সকলের। মনে রাখতে হবে জীবিত ইলিয়াস আলীর চেয়ে অন্য যাই ঘটুক তা কারো জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না । দেশের প্রয়োজনে জীবিত ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে আনতে হবে আর না হলে চরম মূল্য দিতে হবে রাজনীতিবিদ তথা দেশের সাধারন মানুষকে।
ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক