এরা কারা?

নাদিম মাহমুদ
Published : 28 July 2012, 05:41 AM
Updated : 28 July 2012, 05:41 AM

মামা আসেন টুলে বসে দু'খান মিষ্টি খেয়ে যান। অনেক দিন হলো মামা বাঙ্গলা সিনেমা দেখি নাই। আজ লাইব শুটিং দেখলাম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। অবশ্য আফনেগো আমলে যেরম সিনেমাগুলোতে কাউকে খুন করার পর ফুলিশ আইতো এখানে কিন্তু মামা ফুলিশ সামনে কি ছুন্দর ফটোওয়ালাদের ফটো মামা আফনে কল্পনা করতে পারতন নয়। মামা আজ আফনাকে মিষ্টি খাওবই।

কথাগুলো বলছিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পূর্বপ্রান্তের বসে থাকা একটি চা দোকানদার। মসে বিষয়টি নিয়ে মজা করলেও ঘটনাটি সত্য।
সাংবাদিক সাগর-রুনি নিয়ে সরকার সিরিয়াল শুরু করেছে। তাদের মৃত্যুর পর থেকে সিরিয়ালের শুটিং চলছে বেশ জোরেশোরে। একের পর এক হট হট অভিনয়ে সাগর-রুনির সিরিয়াল এখন দর্শক সমাধিত

অবশ্য এই সিরিয়ালের মাধ্যমে সাংবাদিকদের নির্যাতনের চিত্র পরিপূর্ণভাবে উঠে আসছে।

এরা কি শুরু করেছে। ভৌগলিক আবহাওয়ার কারনে কি প্রাণীজগতের বিস্তর পরিবর্তন চলে এসেছে নাকি? ।ভাবতে অবাক লাগছে! অনেক কল্পকাহিনীতে দেখেছে ঈশ্বরের পর নাকি দ্বিতীয় ঈশ্বর হচ্ছেন ডাক্তার। প্রতিকী অর্থে ব্যবহৃত হলেও কথাটি উড়িয়ে দেয়া যাবে না। কিন্তু গত ২২ জুলািই থেকে ডাক্তারদের আচরণ দেখলে মনে হয় এরা হলিউড কিংবা ঢালিউডের সিনেমার শুটিংগুলোকে হার মানিয়ে ফেলবে। বুধবার ঢাকা মেডিকেলে হাসপাতালে সাংবাদিকদের উপর চড়াও হওরা কাহিনী কেউ কি ভুলতে পারবে? ডাক্তারের মতো মহান পেশাকে এরা কলুষিত করলো?

ছবিটি দেখলে মনে হবে যে ওরা যেন কোন রাজনীতিক সমর্থক। যে বিরোধীদলকে ধাওয়া করছে।

গত কয়েকদিন আগে মহান পেশার অধিকারীর এক জলিল ছাহেব যশোহরে যে কাহিনী দেখেয়েছেন তাতে ছোট-বড়দের সিনেমা দেখতে হবে না। পত্রিকার পাতায় দেখলে মনে হবে এটা বিনোদন পাতার কোন ছবি।

কিছুদিন পর এই সিনেমাটি রিলিজ হবে।

ডাক্তার-পুলিশ কি তাহলে একই মুদ্রার এপিট-ওপিট হলো? নাকি ক্যাডারবাহিনীদের লেলেয়ি দিয়ে ক্ষমতাশীলরা লুল মারছে আর বিরোধীরা উষ্মতা কামাচ্ছে?
পুলিশের মারধর েএখন স্বীকৃত হয়ে গেছে। সাংবাদিক পেটাতে যে মজা পায় তা তারা বহুবার প্রমাণ করেছে। তারা হরহামেশায় বলে ফেলে যে 'তোদের পেটানী দিলে কিছু হয় না''
আর এই উক্তিকে কাজে লাগে হয়ত ডাক্তাররা এখন কসাই সাজার চেষ্টা করছে। অবশ্য রোগীরা আগে থেকেই এই উপাধিটা তাদের দিয়েছে। এতে মনে হয় উনাদের গাঁ সঁয়ে গেছে।
পৃথিবীর সবচেয়ে দূর্লভ চিত্র হাসপাতালে দেখা যায়। সরকারের কোটি কোটি টাকা পকেটে নিয়ে এরা মুখ বন্ধ করতে চাই সাংবাদিকদের। সত্যকে কুণ্ঠাবোধ করতে চায়।

আমরা আমজনতা কিছু বুঝি না। যা পাই তাই খাই। কিন্তু তাই বলে কি সাংবাদিকদের উপর একের সিরিয়াল শুরু হবে তা আমরা দেখবো অনায়াশে তাতো মনে নেয়া যায় না।
সাগর-রুনির পর থেকে এই বছর সাংবাদিক নির্যাতনের সিরিয়াল শুরু হয়েছে। সরকার তাদের পেটুয়া বাহিনীদের দিয়ে একের পর এক কাহিনী সাজিয়ে ফেলছে। পুলিশের সামনে ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে যা দেখা গেল তা ভুলবার নয়। তবে সরকারের উচিত এই সাংবাদিকরাই আপনাকে আপনার আসন গ্রহণ করাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে আবার এরাই আপনাকে সেখান থেকে নামিয়ে আনতে হয়ত (বেশরম) দ্বিধাবোধ করবে না।

প্লিজ সাংবাদিকদের উপর চড়াও না হয়ে সাগর-রুনির সিরিয়াল বন্ধ করুন। টিভিতে এই সিরিয়াল প্রচার না হলেও আপনারদের পেটুয়া বাহিনী(পুলিশ) ফুলিশের মতো একের পর এক সিরিয়াল বাস্তব অভিনয় করেই যাচ্ছে। হয়ত আপনাদের ঘুম ভাঙ্গে যাবে তবে সেই ঘুমে অচেতন থেকে যাবেন। আর ঘুম ভাঙ্গাবে না।