যতই চাই এই বিষয়ে আর কিছু লিখবো না। কিন্তু না লিখেও পারি না। না লিখলে নিজের বিবেকের কাছে দোষী মনে হয়। এতোদিন যা লিখেছি তা আশায় গুড়েবালি। অনেকটা বালুতে পানি ঢালার সমতূল্য। তবে আজ লিখব। লিখবো এই কারনে যে আজ সকাল থেকে আশার সঞ্চারণ করবে একটি আশা। আপনাকে আজ হ্যা কিংবা না বলতেই হবে। না বললে কিছুতেই মেনে নেয়া যাবে না। অনেক সহ্য করেছি আর নয়। সাহারা মরুভুমির অনেক তাপহীন তাপমাত্রা দেখেছি কিন্তু পুলকিত হয়নি। আজ পুলকিত অশ্রু সিক্ত হতে চাই………
সাংবাদিক দম্পতি সাগর রুনি হত্যাকাণ্ডের সাত মাস পার হয়েছে গত কয়েকদিন আগে। এতো দিন সাহারা-টুকুর কাছে ফরিয়াদ ছিল যেন এই বিষয়ে কোন কিছু করেন। কিন্তু সাহারা মরুভুমির মতো তপ্তময় সেই ৪৮ ঘন্টার বক্তব্যটা আজও কানে যখন বাজে তখন নিজেকে অনেক কষ্টে সংবরণ করি।
রোববার থেকে মহাজোট সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসছেন মখা আলমগীর। সারাহার স্থলাভিষিক্ত এই ব্যক্তি এই দিন থেকে সাহার চেয়ারে বসে তার রেখে যাওয়া ফাইল গুলো দেখবেন।
আজ উনার (আলমগীর) কাছে আকুল আবেদন থাকবে আপনি প্রথম যে ফাইল হাতে দিবেন তা যেন সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচারের তদন্ত ফাইলে হাত দিয়েন। সাহার মতো মুখ বাষ্প না দিয়ে ওবায়দুরের মতো ফ্যাটা কেষ্ট হবেন। দেশের সকল পেশা-জীবী এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চায়। আপনি সাহারার মতো সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডকে নিয়ে মাখামাখি করবে
আজ আপনার অগ্নি পরীক্ষা। আপনাকে হয় সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে নতুন পদক্ষেপ নিতে হবে নতুবা এটিএন বাংলার সামনে যে সাংবাদিক সমাবেশ আছে তা রুখতে হবে?? আপনি যদি স্বাধীন কণ্ঠকে হরণ করেন তবে আপনার ক্ষেত্রে আমরা কি আশা করতে পারি সেটা নিশ্চয় জানা হয়ে যাবে। যেই লাউ সেই কদু অবস্থা দেখতে চাই না জনাব মখা আলমগীর। আমরা চাই একটা স্বচ্ছ বিচার ব্যবস্থা। যেখানে থাকবে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা।
আপনি সরকারের এই শেষ সময়ে এসে হয়তো বিগত ৪ বছরের কালিমা পরিস্কার করতে পারবেন না তবে সাধারন মানুষ সাহারার মতো আপনাকে দেখতে চায় না।
আশা করি আর কয়েক ঘণ্টা পর আপনার কাছ থেকে ফলাফল পেয়ে যাবো। কিন্তু যদি ফলাফল ঋনাত্বক হলেও ক্ষোভ প্রকাশ করবো না কিন্তু ধনাত্বক হয় তবে কিছু অশ্রু বিসর্জন যাবে।