বিভিন্ন রোগের শেফা হিসেবে মধু -২

ভাদা
Published : 20 Jan 2013, 09:56 AM
Updated : 20 Jan 2013, 09:56 AM

মধু দিয়ে চিকিৎসা :
রোগ আরোগ্যকারী হিসাবে কুরআন ও হাদীছ উভয় গ্রন্থেই মধুর কথা উল্লেখ হয়েছে। কাজেই মধু দিয়ে বিভিন্ন রোগের সফল চিকিৎসা করা নিতান্তই স্বাভাবিক। কুরআন ও হাদীছের উপর পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করে থাকেন। নিচে এর দু একটি উল্লেখ করা হলো-

১. অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায় যে, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা) কুরআন ও হাদীছের উপর পূর্ণ বিশ্বাস রেখে মধু মাধ্যমে যে কোন রোগের চিকিৎসা করতেন।

হযরত আলী (রা)'র গবেষণা প্রসূত একটি ওষুধ
হযরত আলী (রা) স্বীয় চিন্তা ও গবেষণার মাধ্যমে একটি মহৌষধ আবিষ্কার করেছেন, যা অধিকাংশ রোগেরই আরোগ্যকারী। এ দুর্লভ মহৌষধটির প্রধান দ্রব্য হলো মধু। নিচে তাঁর চিন্তা ও গবেষণার উৎস এবং মূল ওষুধটি সম্বন্ধে বলা হলো-
আল্লাহতায়ালা পবিত্র কুরআনের সুরা নিসার চতুর্থ আয়াতে বলেছেন, "তোমরা সন্তুষ্ট মনে স্ত্রীর প্রাপ্য মোহরানা আদায় করে দাও। তোমাদের স্ত্রীরগণ যদি স্বেচ্ছায় আনন্দ মনে মোহরানার কোন অংশ তোমাদেরকে ছেড়ে দেয় তবে তোমরা উহাকে সুস্বাদু তৃপ্তিকর মনে করে ভোগ কর।" সুরা ক্কাফ " প্রথম রুকুতে আল্লাহপাক বলেছেন, "আমি আসমান হতে অত্যন্ত বরকতময় পানি বর্ষণ করি।"

উপরের তিনটি বরকতময় বস্তু হতে ধারণা নিয়ে হযরত আলী (রা) উদ্ভাবন করলেন, কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে মোহরানা বাবদ টাকা দেবে এবং স্ত্রীর ঐ টাকা হতে কিছু টাকা স্বেচ্ছায়, খুশী মনে স্বামীকে দান করবে। স্বামী ঐ টাকা দিয়ে মধু কিনবে। তারপর বৃষ্টির পানি ঐ মধুর সাথে মেশাবে। পানি মিশ্রিত দিয়ে মধু কিনবে। তারপর বৃষ্টির পানি ঐ মধুর সাথে মেশাবে। পানি মিশ্রিত ঐ মধুই হলো একটি মহৌষধ। এ মহৌষধ যে কোন রোগীকে পান করারে ইনশাআল্লাহ সে রোগী আরোগ্য লাভ করবে। এই ওষুধটি বহু পরীক্ষিত বলে বিভিন্ন ধর্মীয় কিতাবে উল্লেখ আছে।

উপরে বর্ণিত প্রথম আয়াতে সারমর্ম হতে বুঝা যায়, এ ওষুধটি সবার জন্য ভাল কাজ করলেও যার মোহরানার টাকার মধু কিনা হলো অর্থাৎ তার নিজের স্ত্রীর বা সন্তানের ক্ষেত্রে তা বেশী কার্যকর হবে।

চলবে……………….