প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য-৬: পাহাড় ও সাগরের চমৎকার ইকোসিস্টেম পুয়েত্রা প্রি পাতাল নদী

নাসিরুদ্দীন
Published : 27 August 2012, 10:47 AM
Updated : 27 August 2012, 10:47 AM

১১•১১•১১ তারিখ ছিল প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য নির্বাচনে ভোট দেয়ার শেষ দিন। ওইদিন রাতেই জানানো হয় তালিকাতে কোন সাতটি স্থান পেয়েছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এদের নাম ঘোষণা হবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে। প্রথম সাতে স্থান করে নিতে ব্যর্থ হয়েছে সুন্দরবন। প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্যে শীর্ষে থাকা সাতটি স্থান নিয়ে আমার ধারাবাহিক সাতটি পর্বের ৬ষ্ট পর্ব আজ। ৬ষ্ট পর্বে থাকছে তালিকায় ৬নং এ স্থান করে নেওয়া পুয়েত্রা প্রি পাতাল নদী ।

প্রথমেই আমরা জেনে নেই প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য নির্বাচনের ইতিবৃত্ত।

সুইস বংশোদ্ভুত কানাডার নাগরিক বার্নার্ড ওয়েভার প্রতিষ্ঠা করেন 'দ্যা নিউ সেভেন ওয়ান্ডার্স ফাউন্ডেশন'। বার্নার্ড ওয়েবার নতুন সপ্তাশ্চর্য নির্বাচনের সংগঠন প্রতিষ্ঠা করলেও এর সঙ্গে সুইস সরকারের কোন সম্পর্ক নেই। ২০০১ সালে পৃথিবীর মানবসৃষ্ট নতুন সপ্তাশ্চর্য নির্বাচনের জন্য সংগঠনটি নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে প্রতিযোগিতার আহ্বান করে। ফল ঘোষণা হয় ২০০৭ সালে। এ সময় সংগঠনটি দাবী করে তারা প্রায় ১০ কোটি এসএমএস ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভোট পেয়েছে। এবার প্রতিষ্ঠানটি প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য নির্বাচনের উদ্যোগ নেয়।

পৃথিবীর ২২০টি দেশ থেকে ৪৪০টি স্থান প্রাথমিকভাবে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। কিন্তু এ দৌড়ে শেষ পর্যন্ত শীর্ষে টিকে থাকে ৭৭টি স্থান। এরপর সেখান থেকে ২৮টি স্থান অংশ নেয় চূড়ান্ত পর্বে। ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ভোট চূড়ান্ত করে তালিকাটি করা হয়।

পুয়েত্রা প্রি পাতাল নদী :

পুয়েত্রা প্রি পাতাল নদী ফিলিপাইনের সবচাইতে উল্লেখযোগ্য জীববৈচিত্রময় এলাকা। পৃথিবীর অনেক দেশই এ নদীটি সম্পকে জানত না । ২০০৭ সাল পয'ন্ত মেক্সিকোর ইউকেটান পেনিনসুলারকে ধরা হত একমাত্র পাতাল নদী।

প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট পুয়েত্রা প্রি পাতাল নদীটি প্রায় ৫০ কি.মি. জুড়ে বিস্তৃত।এটা পৃথিবীর দীঘ'তম পাতাল নদী হিসেবে পরিচিত।

এর উৎপত্তি সাবাৎ শহরের সাবটেরিয়ান নদী থেকে। পুয়েত্রা প্রি পাতাল নদী ৮.২ কি.মি পাহাড়ের মধ্য দিয়ে এক অন্ধকার গুহা দিয়ে বয়ে চলেছে ।

এই নদীতে দশ'নীয় চুনাপাথর দেখা যায়।এই নদীর আশ্চয'জনক দিক হল যে এটা সরাসরি সমুদ্র প্রবাহিত হয়েছে এবং এর নিচের অধাংশ লবনাক্ত ও এতে জোয়া ভাটার প্রভাব আছে।

পাহাড় ও সাগরের চমৎকার ইকোসিস্টেম গড়ে উঠেছে এখানে।এখানে সমুদ্র বাস্তু তন্ত্রের পূণ' পব'ত আছে যা জীববৈচিত্র্যকে রক্ষায় উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রাখছে।

এটা অনেক বিপন্ন এবং বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল। উপকূলীয় এলাকায় ম্যানগ্রোভ,সামুদ্রিক ঘাস, প্রবাল প্রভৃতি পাওয়া যায়।পর্যটকদের জন্য এটি একটি আকর্ষণীয় স্থান।