মাতা-পিতার ভরণপোষণের আইন নিয়ে হাইকোর্টের রুল জারি!! আইনের বাস্তবায়ন দেখতে চাই

নাসিরুদ্দীন
Published : 28 March 2012, 11:25 AM
Updated : 28 March 2012, 11:25 AM

গতকাল আমার এক বন্ধুর মুখেই শুনলাম যে তাদের ক্যাম্পাসে এক বৃদ্ধ চাচা আছে যাকে তারা মতি চাচা বলে ডাকে। সেই বৃদ্ধ চাচার এক ছেলে বুয়েট থেকে পাশ করে ভাল একটা কোম্পানীতে চাকরী করে আর মেয়ে ডাক্তার।অথচ লোকটাকে থাকার জায়গার জন্য সবার দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়েছে।অবশেষে তারা তাদের ক্যাম্পাসে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছে।লোকটা ক্যাম্পাসে ডিম বিক্রি করে। এসব শুনে খুব বেশি খারাপ লাগল।

মাতা-পিতা অনেক কষ্ট করে, মাতার ঘাম পায়ে ফেলে সন্তানকে ভরন পোষন করেন তার যাবতীয় খরচ বহন করেন।হাজার ও কষ্ট সহ্য করে ছেলেমেয়েদের স্বাবলম্বী করে তোলেন।কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে সেই ছেলেমেয়েরা যখন বড় হয়, নিজে থেকে বাচঁতে শিখে তখন আর অসহায় অবলম্বনহীন মাতা-পিতার কথা মনেই থাকেনা।তাদেরকে একা রেখে তারা তখন বউকে নিয়ে দিব্যি আনন্দে থাকে। মা-বাবা খেয়ে না খেয়ে দিন কাঠায় তখন।কোন কোন ক্ষেত্রে আধুনিক ছেলে মেয়েরা মা বাবাকে বাড়তি ঝামেলা মনে করে তাদেরকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসে যেখানে বছরে একবার ও খবর নেয়না ছেলে মেয়েরা যে মা বাবা কেমন আছে। পরম কষ্টে একাকিত্বকে সঙ্গী করে তারা বেচে থাকে আর ছেলেমেয়েদের কথা মনে করে চোখের অশ্রু ফেলে।

বাংলা নিউজের পেজটা ওপেন করে খবরটা পড়ে ভালই লাগল। গাজীপুর বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুল জাহিদ মুকুল হাইকোর্টে এ বিষয়ে রিট আবেদন করেন আর তার প্রেক্ষিতেই হাইকোর্ট রুল জারি করেন। আইন ও সমাজকল্যাণ সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এরকম একটা দুটা নয় হাজার ও ঘটনা আছে যা আমাদের সমাজের আশেপাশে ঘটেই চলছে।এসব বৃদ্ধ মাতা-পিতার ভরনপোষণের ব্যাপারে কি আমাদের সমাজের কোন দায় দায়িত্ব নাই ?
বাংলানিউজের নিম্নোক্ত নিউজটা পড়ে মনে আশার সঞ্চার হল: