ধ্বংসাত্মক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, আক্রমণাত্মক ও অবিবেচক রাজনৈতিক কৌশলের পরিমণ্ডল থেকে দেশ ও দেশের জনগনের পরিত্রাণ কি কখনও মিলবে?

নাজমুস সাদাত
Published : 4 March 2013, 02:25 PM
Updated : 4 March 2013, 02:25 PM

দেশে যেভাবে হরতালের নামে জামাত ও তার অঙ্গ সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির জনগনের জানমালের ক্ষতি করছে, যানবাহন ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ করছে, ট্রেন লাইন উপরে ফেলছে, গাছের গুড়ি ফেলে, রাস্তাই আগুন দিয়ে রাস্তা অবরোধ করছে এবং এভাবে গ্রামসুদ্ধ রূপই পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে তা নিতান্তই হতাশাজনক। ধর্ম কখনও এভাবে জনগনের জানমালের ক্ষতি, সহিংসতা সৃষ্টি, দেশের মানুষের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করতে অনুমোদন দেয়নি, বিবেকবান প্রতিটি মানুষেরই তা বোঝা উচিত। জামাত চাইলে সাইদীর রায়ের বিরুদ্ধে আপীল করতে পারে। আইনি লড়াই করতে পারে। কিন্তু তা না করে তারা ফ্যাসিবাদী পন্থা অবলম্বন করছে। দেশ ও জনগনের কথা ভাবলে তারা এটা করতে পারত না। পাশাপাশি সরকার এবং পুলিশ বাহিনীর যথেচ্ছ গুলি করার মনোবৃত্তি ত্যাগ করা প্রয়োজন, সহনশীল আচরণ এবং ধ্বংসষজ্ঞ দমনে কৌশলী হওয়া প্রয়োজন।

আরেকটি দুর্ভাগ্য বিষয় হলও বিএনপি'র জামাতের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন। দেশের প্রধান বিরোধী দল যখন স্বাধীনতা বিরোধী একটি গোষ্ঠীর প্রতি ঘোর সমর্থন জানায় তখন দেশের গনতন্ত্র, এবং দেশের মূল রাষ্ট্রীয় চিনতা চেতনাগুলো হুমকির মুখে পরে। বিরোধীদলীয় নেত্রী আজ সম্ভবত জামাতের প্রতি সমর্থন প্রকাশের জন্য ভারতের রাষ্ট্রপতির সাথে দেখা করতে অস্বীকৃতি জানালো, তা দেশের আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক প্রচেষ্টার জন্য মঙ্গলজনক নয়। জামাতকে সমর্থন করতে গিয়ে তারা তাদের রাজনৈতিক মূলনীতি থেকে বিচ্যুত হছে, একথা বোধহয় তারা একবারও ভাবছে না। সরকার, বিরোধীদল এবং আন্দোলনরত ইসলামিক দলের প্রত্যেকের অবশ্যই উচিত সহনশীল আচরণ করা এবং মধ্যস্ততা উদ্দ্যোগ নেওয়া। গণতান্ত্রিক ও আইনি প্রক্রিয়ার প্রতি সকল পক্ষের শ্রদ্ধাশীল হওয়া একান্ত জরুরি। দেশের উন্নতি, স্থিতিশীলতা, বৈশ্বিক যোগাযোগ, আন্তর্জাতিক সুসম্পর্ক এমনকি গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্বের জন্য একান্ত বাঞ্ছনীয়।