জাবিতে ছাত্রলীগের বাঁধায় পরীক্ষা দিতে পারেনি ছাত্রদলের দুই নেতা

নাজমুজ্জামান নোমান
Published : 2 May 2011, 02:03 PM
Updated : 2 May 2011, 02:03 PM

নাজমুজ্জামান নোমান
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের বাঁধার মুখে ¯স্নাতকোত্তর পর্যায়ের প্রথম পরীক্ষা ক্যাম্পাসের বাইরে দিতে হয়েছে ছাত্রদলের দুই বৈধ নেতাকে। এ ঘটনাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের চরম ব্যর্থতা দাবি করে বিবৃতি দিয়েছে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম ও ছাত্রদল নেতারা।

জানা যায়, গতকাল সোমবার সরকার ও রাজনীতি বিভাগের মেধাবী ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল-আমীন ও ছাত্রদল নেতা মোশারফ হোসেন অপুর্ব স্নাতকোত্তর পর্যায়ের 'আধুনিক রাজনৈতিক বিশ্লেষণ' (৫০২) নম্বর কোর্সের পরীক্ষা দিতে ক্যাম্পাসে আসে। কিন্তু ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ক্যাম্পাসে এসে পরীক্ষা দিতে দেয়নি বলে অভিযোগ ছাত্রদলের নেতা আব্দুল্লাহ আল-আমীনের। তিনি বলেন, "ছাত্রলীগের নেতাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানায়, ক্যাম্পাসে পরীক্ষা দিতে আসলে তাদেরকে মারপিট করা হবে"।

পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গতকাল সাভারের একটি বেসরকারী মেডিকেলে তাদের পরীক্ষা নেয়। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে গতকাল ৭৫ জন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতি দিয়েছে। এছাড়া ছাত্রদলের সভাপতি জাকির হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ ভুইয়া এক বিবৃতিতে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্রলীগের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সকল ছাত্রদল নেতাকর্মীর ক্লাস পরীক্ষার ব্যবস্থা এবং ক্যাম্পাসে সহ অবস্থান নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি।
ছাত্রলীগের সহসভাপতি নেয়ামুল পারভেজ বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ছাত্রদলের সন্ত্রাসীরা ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে। ছাত্রলীগ সাধারণ ছাত্রদের সাথে নিয়ে এ সকল সন্ত্রসীদের প্রতিহত করেছে মাত্র।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আরজু মিয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মনে করেছে বাহিরে পরীক্ষা দিলে তারা নিরাপদে পরীক্ষা দিতে পারবে তাই তাদের বাহিরে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাধারন সম্পাদক শামছুজ্জামান সেলিম বলেন, বৈধ ছাত্রদের ক্যাম্পাসে এসে পরীক্ষা দেয়ার কথা থাকলেও ছাত্রলীগের নোংরা রাজনীতি তা করতে দিচ্ছে না। তিনি অতিসত্ত্বর সহাবস্থানের দাবি জানান। তা না হলে এটি আন্দোলনে রুপ নিবে বলেও অভিমত দেন।