জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদালয় সংলগ্ন ঢাকা আরিচা মহাসড়কে চলাচলরত বাসে নিয়মিত প্রয়োজনীয় কাজে ঢাকা টু ক্যাম্পাস যাতায়াত করেন শতশত শিক্ষার্থী। দিন রাতের যে কোন সময়ে ছোট খাটো ঝামেলায় পরলেই নিজস্ব হলের ছাত্রলীগের নেতাদের মোবাইলে জানিয়ে দিয়ে মূহুর্তের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি গেটে জড় করেন ২০-৩০ জন নেতা কর্মীদের। বাস এসে থামলেই অতর্কিত হামলায় তাদের হাতে থাকা লোহার রড, পাইপ ও লাঠি দিয়ে ভাংচুর করেন বাসের গ্লাস। কোন কোন বাসের ড্রাইভার, হেল্পারকেও মারধর করেন তারা। এসব ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোন সঠিক বিচার করতে পারেনি, বরং বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চায়।
সম্প্রতি সিএনজি গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির সাথে বাসের ভাড়া হঠাৎ করে অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি হওয়ায় ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের বিবাদমান দুই পক্ষের কোন্দলে ভাড়া বৃদ্ধি ইস্যুটিতে ঢাকা আরিচা মহাসড়কের ৫ শতাধিক বাস বলির পাঠা হওয়ার আশঙ্কা করছে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। যে কোন মূহুর্তে বাস ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটতে পারে। তাই অবিলম্বে পূর্ব নির্ধারিত ভাড়া নেয়ার দাবি শিক্ষার্থীদের।
জানা যায়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে থেকে ঢাকা গামী বাসের ভাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য ১০ টাকা নির্ধারণ করা রয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করেই গত তিন চারদিন যাবৎ বাসের ভাড়া ১৫ টাকা করা হয়েছে। ভাড়া হ্রাসের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাস মালিকদের সাথেও কোন যোগাযোগ করেনি। এতে ক্ষুদ্ধ হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে হানিফ, সুপার, বোরাক, গ্রীণওয়েসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের ৫ শতাধিক বাস। বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি ছাত্রলীগের বিবাদমান দুই পক্ষের কোন্দলের ফলে, ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করতে ভাড়া বৃদ্ধিকে ইস্যু হিসেবে নিয়ে ঢাকা আড়িচা মহাসড়কের এই বাস গুলো ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করতে পারে বলে ছাত্রলীগের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এ বিষয়ে সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামছুল আলম সেলিম বলেন, গভীর রাতে ছাত্রলীগ বিভন্ন ইস্যুতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বাস ভাংচুর করে আসছে। এবার ভাড়া বৃদ্ধিকে ইস্যু করে বাস ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগের মাধ্যমে পরিকল্পিত ভাবে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করতে পারে। বাস মালিকদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য একটু কম লাভ করে ১০ টাকা ভাড়া রাখার অনুরোধ জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালযের রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিকি বলেন, আমাদের সাথে কোন যোগাযোগ ছাড়াই বাস মালিক কর্তৃপক্ষ ভাড়া বৃদ্ধি করেছে। এ বিষয়ে অবিলম্বে বাস মালিকদের সাথে যোগাযোগ করা হবে।
maruf বলেছেনঃ
why? goverment Why/
মৌসুমী বলেছেনঃ
বাস ভাঙা ও পোড়ানো কোন সমাধান নয়। এতে মূল ক্ষতি সাধারণ জনগনেরই হয়। বাসমালিকরা বীমার টাকায় বরং নতুন করে গাড়ি কিনতে পারে।
নাহুয়াল মিথ বলেছেনঃ
হে সৃষ্টিকর্তা, জাবি ছাত্রলীগের হেদায়েত দাও।
nurul hoque বলেছেনঃ
bus vara otirikto baranor karone protidin 100 ti bus purano uchit.
নাজমুজ্জামান নোমান বলেছেনঃ
সে রকম সম্ভাবনা ঢাকা আরিচার ছাত্রলীগ নেতাদের ছাড়া সম্ভব নয়।
আর এরাই জাহাঙ্গীরনগর ছাত্রলীগ।
nurul hoque বলেছেনঃ
আমাদের প্রশ্ন হল, কতপার্সেন্ট জ্বালানি মূল্যবৃদ্ধির বিপরীতে কত পার্সেন্ট গাড়িভাড়া বাড়ানো হয়েছে? এ ভাড়াবাড়নোর সঙ্গে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির ভারসাম্য রা করা হয়েছে কি না? খেয়াল করুন, শতকরা একটাকা জ্বালানি মূল্যবৃদ্ধির বিপরীতে পরিবহন মালিক প ৫০% থেকে শুরু করে ৯০ভাগ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে। এ কারণেই ৮ টাকার ভাড়া বাড়িয়ে ১২-১৫টাকা পর্যন্ত করা হয়েছে। এ পরিবহন মালিকরা নীলকরমহানজন কিংবা কাবুলিওয়ালাদের চেয়েও জঘন্য। এই গণপরিবহনগুলো এখন জনসেবার পরিবর্তে জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে, এই জনরোষ একদিন গণবিস্ফোরণেও রূপ নিতে পারে। তখন যদি শত শত বাস আগুনে পুড়ে যায়, তার দোষ কার? নিশ্চয় মালিকÞ। অন্যায় শোষণের ফল বরাবরই এমন হয়ে এসেছে, পৃথিবীর ইতিহাস, ন্যায় ও সত্যের ইতিহাস এমন স্যাই বহন করছে। কেবল অন্ধরাই দেখতে পারছেন না। এই অবস্থায়, ইস্টইন্ডিয়া-কাবুলিওয়ালাদের উত্তরসূরি, বর্বর গণপরিবহন মালিকপরে জন্য আমাদের করুণামিশ্রিত পরামর্শ সময় থাকতে, সুপথে আসুন, ভাড়া কমিয়ে, সহনীয় মাত্রায় নিয়ে আসুন। আর না এব্যাবসা ছেড়ে দিন। আপনাদের কারণে একটি দেশে এত গণঅসন্তোষ সহ্য করা সম্ভব নয়। আপনারা একাত্তরের যুদ্ধাপরধীদের চেয়েও জঘন্য।