বাংলাদেশের মানুষগুলো খুব সাধারণতই ধর্মভীরু, তারা ধর্মের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল এবং সবসময়ই ধর্মের প্রতি বিশেষভাবে আনুগত্য থাকে। হ্যাঁ, একজন মুসলিম হিসেবে সবারই তো এমনটা হওয়া উচিত।
জামায়েত শিবির নামক দলটি সবসময়ই ইসলামিক কথাবার্তা বলে, মানুষকে ইসলামের পথে আহ্বান জানায়, ধর্মের জন্য লড়াই করে – এমনটাই ধারণা বাংলাদেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জামায়েত শিবির সমর্থকদের। যে মহৎ গুণের কারণে তারা জামায়েত কে সমর্থন করছে, আসলেই কি তাই?
না, মোটেই তা না। জামায়েত জানে এ দেশের মানুষ ধর্মভীরু, তাই তারা ধর্মকে টোপ হিসেবে ব্যবহার করে এবং খুব সহজেই ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল সাধারণ মানুষগুলো কোনরকম যাচাই-বাচাই না করে সেই টোপ নির্দ্বিধায় গিলে ফেলে।
সাধারণ এই মানুষগুলো জামায়েতের অন্যতম কর্তা সাইদীর মিষ্ট কন্ঠের ওয়াজ শুনেছে, তারা কখনো তার অশ্লীল অডিও টেপগুলো শোনেনি। এই মানুষগুলো পাঞ্জাবী- পায়জামা আর টুপি পরিহিত মহান সাইদীকে চিনে, তারা একাত্তরের সেই নৃশংস নরপশু সাইদীকে চিনেনা।
সাধারণ এই মানুষগুলো সাদা পাঞ্জাবী আর টুপি পরিহিত মহান নেতা গোলাম আযমকে চিনে, তারা একাত্তরের গণহত্যা আর গণধর্ষণের সাথে জড়িত সেই হিংস্র জানোয়ার গোলাম আযমকে চিনেনা।
এই মানুষগুলো ইসলামের পথে আহ্বান জানানো সেই শিবির কর্মীদের জানে, বোমা, ককটেল আর রগ কেটে মানুষ হত্যাকারী সেই উগ্রবাদীদের জানেনা।
এরা সত্যবাদী শিবিরকে চিনে, এদের প্রত্যকদিনের অশ্লীল মিথ্যাচারী চরিত্রকে চিনেনা।
প্রজন্মান্তরে এরা ইতাহাসও বিকৃত করে ফেলেছে নিজেদের স্বার্থে। সঠিক ইতিহাস জানেনা বলেই সাধারণ শ্রেনীর মানুষগুলো আজ আমাদের স্বাধীনতাবিরোধী চক্রটিকে অবলীলায় সমর্থন করে যাচ্ছে।
অন্ধকারের সম্রাজ্য ডুবে থাকা এই মানুষগুলো শীগ্রই আলোর সম্রাজ্য ফিরে পাবার সময় আর বেশি দূরে নয়।
যতই দিন যাচ্ছে এই জঙ্গি সংগঠনটি ততই নিজেদের মুখোস উন্মোচন করছে।
পরিশেষে এটুকুই বলবো,
ধর্মান্ধতা নিপাত যাক, দূর হোক জ্ঞ্যানপাপের অজ্ঞতা!