প্রাথমিক শিক্ষায় দুর্নীতির বিষফোঁড়া

নীল কাব্য
Published : 19 Sept 2012, 08:04 PM
Updated : 19 Sept 2012, 08:04 PM

জয়পুরহাট জেলার, পাঁচবিবি উপজেলায়, আটাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়। অ-নিয়ম যেখানে নিয়মে পরিনত হয়েছে, সেখানে শিক্ষার পরিবেশ কতটুকু নিরাপদ আছে? আটাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় এখন ব্যবসা কেন্দ্র। ভাবতে অবাক লাগে যেখানে মানুষ গরার কারিগর এর ভিত্তি স্থাপন হয় সেখানে চলে অ-নিয়ম আর দুর্নীতি। সেখানে রয়েছে সাতটি ক্লাশ রুম যার বিপরীতে আছেন প্রধান শিক্ষিকা সহ দশ জন। অতিরিক্ত আছেন তিন জন, যার কারণে প্রধান শিক্ষিকা সহ দুই / তিন জন শিক্ষক / শিক্ষিকা ইচ্ছামতো বিদ্যালয়ে আসেন নাম মাত্র। এই স্কুলে এমন কোন দূনীতি নেই যা হয় না, তার মধ্যে বিদ্যালয়ের শিশুদের অনুদারে টাকা, স্কুলের সিলিং ফ্যান বিক্রি, স্কুল প্রাঙ্গণের গাছ বিক্রি, বিদ্যালয়ের পুকুর লিজ দিয়ে সেই টাকা আত্মসাত, কোচিং এর নামে শিশুদের কাছে অতিরিক্ত পরীক্ষার ফি আদায়, অতিরিক্ত টাকা ছাড়াও প্রতি সপ্তাহে প্রতিটি শিশুর কাছে দশ টাকা হারে চাঁদা নেওয়া হয়, উল্লেখ্য যে, প্রতিটি শিশুর কাছে অংকন শেখানোর নামে প্রতি মাসে দশ টাকা হারে চাঁদাও নেওয়া হয়, যেখানে সরকার প্রতিটি শিক্ষককে চাকুরীর শুরুতেই চারুকারু বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।

এসব কাজ সরাসরি প্রধান শিক্ষিকা জাকিয়া ফারহা দীবা হাইদার চৌধুরী নিজে নিয়ন্ত্রণ করেন, তার প্রধান সহযোগী সহকারী থানা শিক্ষা অফিসার যতন কুমার দেবনাথ। এসব অনিয়মের কারণে ম্যানেজিং কমিটির কোন সদস্যই বিদ্যালয়ের কোন কাজে অংশগ্রহন করেন না। এসব অভিযোগ সহকারী থানা শিক্ষা অফিসার যতন কুমার দেবনাথ ও থানা শিক্ষা অফিসার কে জানানো পরেও কোন অজ্ঞাত কারণে উক্ত প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না। প্রধান শিক্ষিকা জাকিয়া ফারহা দীবা হাইদার চৌধুরীর বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে বিভাগীয় মামালা সহ শাস্তিমূলক বদলীর নজির আছে। তার অনিয়ম-তান্ত্রিক ভাবে বিদ্যালয় পরিচালনার বিষয়টি বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। তাছাড়া রয়েছে বহিরাগত তিনজন, নামধারী শিক্ষক এনামুল, রায়হান ও সুমী যারা সরাসরি প্রধান শিক্ষিকার সংগে কোচিং ব্যবসায় জড়িত। উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষ যদি এখনই ব্যবস্থা গ্রহণ না করেন, তা হলে ভবিষ্যতে উক্ত বিদ্যালয়ে হয়ত কোন অভিভাবক তাদের সন্তানকে পাঠাবেন না। এখনই মেধাবীরা বিদ্যালয়টি ত্যাগ করেছে। একটি সার্থক বিদ্যালয় মুখ থুবড়ে পরবে, যা সরকারের প্রাথমিক শিক্ষার বিপর্য়য়ের বটে। আসলে-ই কি এসব দেখার কেউ নেই। নাকি দেখেও না দেখার ভনিতা করে আছেন কর্তৃপক্ষ?????