ফাঁদে পা দিবেন না!!!

আহমেদ নুর
Published : 9 April 2012, 02:46 PM
Updated : 9 April 2012, 02:46 PM

ডেসিটিনি ২০০০ লি: সম্পর্কে প্রথম শুনেছিলাম ২০০৩ সালে। আমি তখন হোস্টেলে থাকতাম। সে সময় এক সিনিয়র বড় ভাই বলছিল যে, কিভাবে খুব অল্প সময়ে অনেক টাকা কামানো যায়। আমার শুনেতো চোখ কপালে উঠার যো। তার কথাগুলো শোনার পর আমার হার্টবিট বেড়ে গিয়েছিল। সে দিন থেকে প্রায় এক সপ্তাহ আমার বইয়ের পাতায় মন বসেনি। কিন্তু সে সময় জয়েন করার মত টাকা না থাকায় ব্যবসাটা আর করা হলো না। আমি এটাকে ব্যবসাই বলব কারণ চাকুরীতে নির্দিষ্ট পরিমান ইনকাম থাকে ব্যবসাতে তা থাকে না। যা হোক সেদিন যদি জয়েন করতাম তাহলে হয়তো আমার দ্বারা কিছু সংখ্যক মানুষ প্রতারিত হতো এবং আমিও তাদের মত (যারা এখন ডেসটিনিতে কাজ করে) প্রতারিতদের একজন হতাম। কিন্তু মানুষ মাত্রই লোভ প্রবন। আর কিছু সাধারন ও নিরীহ মানুষের এই লোভকে কাজে লাগিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে যে প্রতিষ্ঠান তার নাম ডেসিটিনি ২০০০ লি:।

আমিও ঠিক আমার লোভকে সামলাতে না পেরে শেষ পর্যন্ত ফাঁদে পা দিলাম ২০০৯ সালে। তখন আমার চাকরি নাই, তার পরও আমি অনেক কষ্ট করে ৫০০০/= টাকা জোগার করে আমার এক মামার প্রলোভনে জয়েন করলাম। তবে ভাগ্যিস আমার দ্বারা কেউ প্রতারিত হয়নি। আমি ফাঁদে পা দেবার পর বুঝলাম আমি প্রতারিত হয়েছি। আর একারণেই আমি কাউকে এই মরণ ফাদে পা দেবার জন্য আহবান করিনি। অনেকে তো ভর্তি হয়ে তার ডকুমেন্ট পেয়েছে কিন্তু আমি কোন ডকুমেন্টই পাইনি। কত সূক্ষ প্রতারণার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের গায়ের রক্ত পানি করে ইনকাম করা টাকাগুলো ডেসিটিনির রফিকুল ইসলাম ও তার তৈরি করা প্রতারক চক্র মিলে আত্মসাত করেছে। একজন খুনী যখন একটা খুন করে তখন একজন মানুষই মারা যায়। কিন্তু ডেসটিনি যেভাবে সূক্ষ প্রতারণার মাধ্যমে নিরীহ ও সরল মানুষগুলোকে বড়লোক হওয়ার লোভ দেখিয়ে ঠেকিয়েছি তাতে তারা প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষকে খুন করেছে। একজন মানুষ খুন করার অপরাধে যদি একজন খুনির একবার ফাসি হয় তবে মি: রফিকুলের ৬০ লক্ষবার ফাসি হওয়া উচিত। সরকার ও প্রশাসনের কাছে আমাদের আকুল আবেদন, অবিলম্বে এই প্রতারক চক্রের সুষ্ঠু বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন যাতে করে আমরা যারা প্রতারিত হয়েছি তারা একটু হলেও শান্তি পাই।