বর্তমানে বাংলাদেশে রাজাকারদের বহুল শ্রেণী বিভাজনের উদ্ভাবনে আসল-নকল চিনতে জহুরীর প্রয়োজনীয়তাই অনুভব করছি। চিহ্নিত রাজাকাররা নাহয় হাজতবাসি। আমাদের চারপাশেই ছদ্মবেশি রাজাকাররা উড়ে এসেই জুড়ে বসেছে বহুতর উপায়ে। নিপাট ভালো মানুষ সেজে। কেউবা দিব্যি সুশীল। কেউবা সামাজিক যোগাযোগের কেউকেটা শ্রেণীর। বহুদিনের রিহার্সেলেই এমনটি সম্ভব। জনসাধারণ-এর চিন্তার বাইরেই ইনারা নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিলে এমন সব কর্মকান্ডের সঙ্গে নিযুক্ত যা আমরা কেউ ধারণা করতেও হয়তো অপারগ। এমন তথ্যই পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন অনুসন্ধানী রিপোর্টে। আমরা হয়তো যোগাযোগের সামাজিক সাইটে তাদেরই ফ্রেন্ডশিপের রিকোয়েস্ট গ্রহণ করে ফেলেছি। বন্ধু ভেবেই ইম্পর্টেন্ট লিংক ও তথ্য শেয়ার করে চলেছি। এমন আমার বেলাতেই ঘটেছে। তাই সতর্ক করতেই আমার এই পোস্টটি। যে যেখানে থাকুন নিজের যোগাযোগের সাইটে নিজের তথ্য শেয়ারে আর বন্ধুতা সতর্কতার সঙ্গেই নির্বাচন করুন। বাংলাদেশের জন্য বাংলার জন্য বন্ধু ও সুশীল সেজেই যারা ক্ষতিসাধনে লিপ্ত তাদের চিনবার চেষ্টাটি চালানোর সময় এখন। এই চক্রটি ধারনাতীত ধূর্ত -র দল। মুখোশধারী সুশীলের দলের সদস্যভুক্ত হয়েই জাতিগত ক্ষতিসাধনে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এদের সম্পর্কে সজাগ থাকা জরুরী। নইলে অনেক বড় ক্ষতিসাধন ঘটে যাবার পরে অন্ধকারের গর্ভজাত ইতিহাসের পুনরাবৃত্তিটি ঠেকানো যাবেই না। তা যেন কিছুতে না হয় এই প্রার্থনা আজ আমার।
একইসঙ্গে আরও কিছু জরুরী প্রাসঙ্গিক কখাও লিখতে চাইছি – আমাদের এখনকার স্বদেশের অবস্থা – কবি শামসুর রাহমান-এর ভাষায় – "অদ্ভুত উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ" যেন বা ! আজকের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা কিসের লাগিয়া আর কাহার লাগিয়া কোমর বাঁধিয়া খুঁজিয়া মরিতেছেন সে কোন পরশপাথর আমি জানিনা ! সেকি জনকল্যাণে ! নাকি নিজের অজানিত কোনও অকল্যাণের দিকেই পরিচালিত করিতে চাহিতেছেন অনেক রক্তজলে অর্জিত প্রিয় বাংলাদেশ ! আমি নিতান্ত ক্ষুদ্র বুদ্ধির লিখিয়ে হিসেবে কিছুতেই কোনও সদুত্তোর পাচ্ছিনা। কেন এদেশে আজও রাষ্ট্রবিরোধী চক্র এতটা পক্ষপাত এতটা সহযোগ পেয়েই মাত্রাছাড়া-মাথাচাড়ার সুযোগের সদ্ব্যবহারে মিছিলে পুলিশ পেটানোর মহড়া দিচ্ছে ??? জনগণকে ভয় দেখাচ্ছে ??? সেকি মধ্যরাত্রির সুশীলদের টক-শো হতে প্রাণিত হয়ে ??? অথবা গণতান্ত্রিক অবাধ স্বাধীনতা উপভোগের উছিলায় বিদ্বজনের পূণ্যবাণী তাদের বেদবাক্যসম লাগছে ???
এই প্রশ্নগুলির সদুত্তোর না পেলে বর্তমানে বাংলাদেশে জামায়াত চক্রের বিচারিক প্রক্রিয়াধীন আইনের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ার ধৃষ্টতার জবাব মিলবেনা। কেননা বহুদিন হতেই মধ্যরাত্রির টক-শো এইসব সুশীল প্রতিনিধিগণ পরিচালিত করছেন এবঙ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে বিবিধ অদ্ভুতুড়ে বাকবিতন্ডা চালাচ্ছেন। আমরা শুনতে গিয়েই চরম বিভ্রান্তিকর বক্তব্যে একসময় তিতিবিরক্ত হয়ে ঘুমোতে যাই। আমার এই কথার আবার অনর্থ যেন না হয় – সেই অনুরোধও রাখলাম। কারণ আমাদের এখন জাতিগত স্বার্থরক্ষার অধিক কিছুই হতে পারেনা। আমাদের গভীরতম সত্য উপলব্ধির সময় এখন। আমরা কি জামায়াতের হাতে জিম্মিদশায় পৌঁছুবো না স্বাধীনতার পক্ষ শক্তির শক্তিবৃদ্ধি করার কাজটি করবো । আজ এরচে' অধিক বলার নাই।
১৩ নভেম্বর ২০১২ ইং