জাতির পতাকা আবার সেই পুরনো শুকুন-শকুনী সেই বাংলা প্রেমহীন জাত শত্রুর দঙ্গল খামচে ধরেছে ..আবারও পুরনো কায়দায় মায়ের-বোনের অবমাননা..শহীদের আত্মার তরে নির্মিত মহান জাতীয় স্মৃতিসৌধ শহীদ মিনার ভাঙার দুঃসাহস ..ধর্মের নামধারী অধর্মকারী ইসলাম ধর্মের পবিত্রতা বিনষ্টকারী উগ্রপন্থি জামাত-শিবির জঙ্গীর !! যারা একাত্তুরের মুক্তিযুদ্ধেও একই ভূমিকা নিয়েছে পাকিদোসর হয়ে পাকিজান্তার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের নির্যাতন ও হত্যাকারী, দেশের-দশের সম্পদ ধ্বংসকারী, মা-বোনের ইজ্জত লুন্ঠনকারী রাজাকারের দল !! তারাই আজ বিএনপির প্রত্যক্ষ মদতে-সমর্থনে জাতীয় পতাকার অবমাননা সহ শাহবাগের প্রজন্ম সেনা এবঙ মা-বোনের অবমাননাকর চরিত্র হনন-এর উদ্দ্যেশে মসজিদ হতেই ঝাঁপিয়ে পড়েছে !! ইসলাম ধর্মের সম্পূর্ণ উল্টোপথের উগ্রপন্থি চরম দাঙ্গাবাজ সাম্প্রদায়িক জামায়াত-শিবির। লক্ষ শহীদ স্মরণে নির্মিত জাতীয় শহীদ মিনার ভাঙার স্পর্ধা দেখাচ্ছে!! সাংবাদিক-ক্যামেরাম্যান-মিডিয়া কর্মীদের পরেও হামলা চালিয়েছে!! নিজেরা অপকর্ম-তান্ডব চালিয়ে আবার হরতাল ডেকেছে !! সেই হরতালের প্রতি প্রকাশ্য সমর্থন ঘোষণা করে প্রধান বিরোধী দলের (বিএনপি) মুখপাত্রগণ তাদের রাজনৈতিক নীতির উন্মুক্তকরণ করলেন জনসমক্ষে !! তাদের জোটের টার্গেট আজ সজাগ-সচেতন ব্লগার এবঙ প্রজন্মসেনা !! ব্লগার রাজীবকে হত্যার পরে শহীদ রাজীবের চরিত্র হননের অসত ধর্মীয় জিঘাংসায় মিথ্যে সাইট বানিয়ে মহানবীর (সাঃ) সম্পর্কিত লেখার অবতারণা ও অপপ্রচার করে চলেছে !! আমাদের বাঙালি রক্তকে বলছি জাগো – জন্মেছো যদি বাঙালি মায়ের গর্ভেই – তবে যেখানে থাকো – দেশে কি যোজন বিদেশে – জাগো। এ আমাদের জাতিগত অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে টিকিয়ে রাখবার নতুন যুদ্ধ – এ আমাদের অস্তিত্ত্বের স্বার্থে অভিন্ন যুদ্ধ ..
অপরদিকে উল্টোচিত্র!! বিএনপির মদদপুষ্ট "আমার দেশ" প্রধান মাহমুদুর রহমান অম্লান বদনেই শাহবাগের প্রজন্ম চত্ত্বর নিয়ে অন্যায়-অশালীন বক্তব্য দিয়েছেন !! তিনিই বিএনপির নিয়োজিত ধর্মের রাজনীতির উস্কানিমূলক প্ল্যানার !! তিনিই ইতোপূর্বে আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনাল আদালতের বিচারিক বিষয়ে অবৈধ স্কাইপ আড়িপাতা সাংবাদিক !! তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়েছে, হয়তো অচিরেই হাজতবাস আর অবধারিত দণ্ডভোগ অপেক্ষমান।
কিন্তু, আমরা যারা এখানে নিজেদের সজাগ-সচেতন বাঙালি বাংলাদেশের নাগরিক ব্লগার দল, আমাদের কি আরও অনেক সরব-সোচ্চার দাবী নিয়েই নামা উচিত নয় জাতীয় জাতিস্বত্তার অবমাননাকারীদের সমুচিত শাস্তিবিধান যাতে জরুরীভাবে হয় সে লক্ষ্যে? অন্ততঃ এই বিষয়ে আমরা স্বারকলিপি প্রদানের উদ্যোগ নিতে পারি নিশ্চয়? আমি প্রস্তাব রাখলাম। আরও একটি প্রস্তাব এই – আমরা সন্মিলিতভাবে প্রজন্ম চত্ত্বর ঘোষিত গণস্বাক্ষর করতে চাই – একটি দিনক্ষণ নির্ধারণের আবেদন জানাই – আশাকরি তরুণ ব্লগার ভাইবোনরা বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এগিয়ে আসবেন।
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৩