মজাদার আচারগোশত রেসিপি- পুরাতন রাঁধুনী

নুরুন্নাহার শিরীন
Published : 26 Oct 2014, 07:15 AM
Updated : 26 Oct 2014, 07:15 AM

ইশকুল বেলায় মা রাঁধতেন দারুণ মজাদার অাচারগোশত। অামরা, পড়শি, স্বজন খেয়ে অাবার খেতাম। অারও বেশি দুইচামচ ভাত নিতাম পাতে। সে যে কি টেস্টি একটি পদ – "না খাইলে পস্তাইবেন" – এমনই বলতে পারি। একটু বড় হতেই মায়ের হাতের এই একটি মাত্র রেসিপি প্রথম শিখেছি। অামার প্রথম রাঁধা অাচারগোশত মায়ের মতো অতটা মজাদার হয়নি বটে, পরের বার মায়ের কাছাকাছি ধাঁচের হয়েছিলো বলেই অভিমত বাবা ও অন্যদের। অাজও এই রেসিপি পুত্রকন্যা এবঙ প্রিয়জনের অাব্দারে রাঁধি। তখন রাঁধতে বসেই মাকে বিষম মনে পড়তে থাকে। যখন খেয়ে প্রিয়জনের শংসাধন্য হই – হৃদয় হতে মাকেই সালাম জানাই। খুব স্মৃতিকাতরতায় হৃদিমন অাচ্ছন্ন হয়। মায়ের কাছে অল্পবিস্তর রান্না শিখেছি বলে নিজেকে "পুরাতন রাঁধুনী" বলি নিজেই। অাজ হঠাৎ তাজা গোশত দিয়ে "অাচারগোশত" রেঁধেই ছোট্ট বাটিতে ঢেলে একটা ছবি তুলেছি মোবাইলে। মাথায় তখনই খেয়াল এলো – তাহলে অাজ অাচারগোশত রেসিপি লিখি – যেভাবে শিখেছি মায়ের কাছে।

প্রথমে তাজা গোশত দুই কেজির পরিমান লাগবে। হাড়ছাড়া এবঙ চর্বিমুক্ত গোশত ধুয়ে পানি ঝরিয়ে ছোট অাকারে চারকোন সাইজে টুকরো করতে হবে। একটি বাটিতে গোশতে এককাপ ভিনেগার ও একচামচ লবণ মেখে ঘন্টাখানেক পর লবণ-ভিনেগারের মিশ্রণ হতে গোশত চেপে তুলতে হবে। এবার অারেকটি বাটিতে এককাপ সর্ষের তেল, হলুদগুঁড়ো দুই চামচ, চার চামচ মরিচগুঁড়ো, এককাপের পরিমান সর্ষেবাটা ও এক চামচ লবণ মেখে দুইঘন্টার মতো রাখতে হবে। চুলায় হাঁড়ি চাপিয়ে এককাপ সর্ষের তেল গরম হলে একচামচ পাঁচফোঁড়ন, দুইটি তেজপাতা, অাট-দশটি অাস্ত শুকনো মরিচ ফোঁড়ন দিয়ে, একবাটির পরিমান রসুনকাটা দিয়ে মাখানো গোশত ছাড়তে হবে। কোনও পানি মেশানো নয়। মধ্যম অাঁচে গোশত সুসিদ্ধ হবে ও তেলের উপর অাসবে। ডিশে / বাটিতে ঢেলে গরম ভাত-ডাল / টেবিলে গরম পোলাও এর সঙ্গে দারুণ মজাদার "অাচারগোশত" জমবে ভালো। নিজে না রাঁধতে পারলে পুরাতন রাঁধুনী সেতো অাছেই রেডি রেসিপি সমেত বুঝিয়ে দিতে।

কার্তিক। ১৪২১ বঙ্গাব্দ।
ঢাকা। বাংলাদেশ।