রাষ্ট্রবিরোধী কাজ করার জন্য উচিত দণ্ডাদেশ হোক

নুরুন্নাহার শিরীন
Published : 25 Feb 2015, 05:08 PM
Updated : 25 Feb 2015, 05:08 PM

হচ্ছেটা কী বাংলাদেশ নিয়ে? রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ প্রকাশ্য ক্রমেই। এইসব রাষ্ট্রবিরোধী দল এবঙ ব্যাক্তিবর্গ কতটা ঘৃণ্য বলাবাহুল্য। অনায়াসে বিবেক বর্জিত দেশিবিদেশি চক্রান্তে জড়িত এরা অনেক দিন যাবত। বিএনপির তারেক জিয়া লন্ডন হতে বাংলাদেশে আন্দোলনের নির্দেশদাতা হয়ে বেগম জিয়াকে যুগিয়ে যাচ্ছে প্রধানতঃ মানুষ হত্যার নির্দেশনা। অপরদিকে আরও দলীয় কিছু সুশীল, নতুন রাজনৈতিক মোর্চা গঠনকারী কিছু সুবিধাবঞ্চিত সরকারবিরোধী মুখগুলি মানুষ এখন চিনেছে তাদেরই অবৈধ ঘৃণ্য কর্মের জন্য। বাংলাদেশের নাগরিক ও প্রবাসীদের আজ অইসব প্রবীন-নবীন মুখগুলিকে চেনা তাদের প্রায়শঃ টকশো উপস্থিতি / উপস্থাপনা এসবের মাধ্যমে। সুকৌশলে বিষম চাতুরীর চালেই তারা তাদের বয়ানে উস্কানি দেবার কাজটি করে চলেছে। তারা জানেনা আজকের প্রজন্ম, আজকের মানুষ ইন্টারনেট, মিডিয়া আর অবাধ সামাজিক যোগাযোগের সাইটের বদৌলতে সত্যকে জানতে, বুঝতে পায় বলেই আজকের তরুণদের অধিকাংশ 'সুশীল' নামধারী / 'সুজন' নামধারী ক্ষমতালোভী ষড়যন্ত্রকারী মুখগুলিকে নিয়ে কি বলাবলি করে, করছে। যদি জানতো নিজেদের কার্যকলাপ বিষয়ে কিছুটা সচেতন হয়তো হতো। একদা সুশীল মানে সবাই বুঝতো ভালো মানুষ। অর্থাৎ সু-জন। এখন সুশীল মানে অনেকটাই দুর্জন মানুষ – মান্নাদের মতোন মানুষদের কারণে। অন্যদিকে 'সুজন' নামের 'সুশীল' একদল সুজন শব্দের মানেও বদলে দেবার যৌক্তিক কারণ। যাহোক, এই যে আজ ভাইবারের ফোনালাপ ফাঁসের সাম্প্রতিক ঘটনা – জনাব মাহমুদুর রহমান মান্নার সনে সাদেক হোসেন খোকার ফোনালাপ – এটি কি কোনওভাবেই সুস্থ্য বিবেকবান কেউ মানতে পারে? অনেক দিন আগের ঘটনা – বিএনপির তখনও আন্দোলনের নামে অরাজকতা, নৈরাজ্য সৃষ্টির কাল – সাদেক হোসেন খোকার সেই – দা-কুড়ালের ডাক মানুষ নিশ্চয় ভুলে যায়নি এত জলদি। তাই তাদের দুজনের ভাইবারের ফোনালাপ ফাঁসের পরে মান্নাকে গ্রেফতারের দাবীটি কিন্তু ফেসবুকেই প্রবলভাবে উঠেছে। সেই দাবীর কারণে হোক কি সরকারের টনক নড়বার কারণে হোক – মান্নার গ্রেফতারের খবরে দেশপ্রিয় মানুষ খুশি। যে নেতার রাজনৈতিক খায়েশ কতটা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের লাশ ফেলার কথা অনায়াসেই বলে – তারতো শাস্তি জরুরী। তাই লোকজনও বলাবলি করছে –

"ব্যাটারে উত্তম-মধ্যম দিয়া সকল ষড়যন্ত্রের উৎস বের করুক এইবার। বাংলাদেশ নিয়া সেনাবাহিনী নিয়া রাজনীতির চাল চালার ফলভোগ করুক। দেশবিরোধীতার কারণে রিমান্ড বুঝুক ব্যাটা।"

আদতে অসহ্য এসব ষড়যন্ত্রে বাংলাদেশের মানুষ। কেউ এখন আর নতুন দলবাজি চায় না। অন্যায় রাজনীতির খেল দেখতে চায় না বাংলাদেশ নিয়ে। যে নেত্রী অনায়াসে আগুন নিয়ে খেলতে বলে, মানুষ পোড়ানোর রাজনীতির মধ্য দিয়েই আবার ক্ষমতা চায় – এবঙ যারা ইউনিভার্সিটির লাশ দেখতে চায় – তাদের বাংলাদেশের সচেতন নাগরিকরা ঘৃণা জানিয়ে যাবে। জানাবে শতধিক। তাদের বিচারের দাবীও জানাবে হাজারবার।

আমি ভাবছি অন্য একটা অন্যতম বিষয় নিয়ে। ব্যাংককে রাজা-রাণীর বিরোধী কোনও কাজই কেউ করেনা। যদি করে তো কঠিন আইন ব্যাংককে। নিশ্চিত সাজাভোগ করতে হয়। একটা নাটকে রাজা-বিরোধী ডায়ালগের কারণে নাট্যকারকে দশবছর কারাভোগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে ব্যাংককে সম্প্রতি। বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের / ঐতিহাসিক সত্য নিয়েও হেয় করার জন্য ব্যাংককের মতোন কঠিন আইন প্রণয়ন জরুরী। যাতে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সত্য বিকৃত করার সাহস না পায় কেউ-ই। বহুবার এমন অন্যায় কাজটি করে যাওয়া সত্তেও অনেকে পার পেয়েই যায় এদেশে। যেহেতু শাস্তির বিধান বাংলাদেশের আইনে রাখা হয়নি তাই তারেক জিয়া লন্ডনে বসে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সত্য নিয়ে ও বঙ্গবন্ধুকে হেয় প্রতিপন্নের মতো অন্যায় কাজ করতে সাহস পেয়েছে। যদি রাষ্ট্রীয় আইনে এমন অন্যায়ের কারণে শাস্তির বিধান থাকতো তাহলে ভেবেচিন্তে ঐতিহাসিক সত্য বিকৃত করার কাজের আগে ভাবতো শাস্তি বিষয়ে। এই বিষয়টিও নিন্দনীয় একটি জঘন্য অপরাধের কাজ বলেই আজ আমার আবেদন সরকারের কাছে – বাংলাদেশবিরোধী আর বাংলাদেশের জাতির জনকের বিরোধী উক্তির / ঐতিহাসিক সত্য বিরোধী বিকৃত তথ্যদাতার জন্য কঠিন শাস্তির আইন করা হউক অবিলম্বে।

ফাল্গুন। ১৪২১ বঙ্গাব্দ।
ফেব্রুয়ারি। ২০১৫ সাল।