এই বুড়ি মা হতভাগ্য একজন মা। উনার তিনকুলে কেহই নাই। বয়স সত্তুরোর্ধ। চোখের নজর কমেছে। ভালোবেসে কে একজন একটা চশমা কিনে দিলেন বলে একটু ভালো দেখেন আগের চাইতে। আমি ও আমার স্বামী উনাকে পার্কে প্রায়ই দেখি। বিষম মায়া লাগে ও সাহায্য হিসেবে মাঝেমাঝে মালা না কিনেই কয়েকখানা শত টাকার নোট ঝোলায় দেন আমার স্বামী, তোলেন ছবি, আমিও সেটি প্রিয়তে রাখি, আমিও তুলেছি উনার ছবি। বুড়ি মা দোয়া করেন। তাঁর দুচোখ জলভরা দেখতে হৃদয় ক্যামন করে। তবুও জীবন-জীবিকার তাগিদে পথ পেরোন দীর্ঘতম। বকুলতলায় বকুল ফুল কুড়ান। মালা গাঁথেন। দুই চোখের জলে সূচের মাথায় সূতো পরান। বিশ্বে কত না ধুমধামে পালিত হয় এখন মা দিবস। এই দেশেও মা দিবস অনেক উতসাহে পালিত হয়। আমার কাছে আমার চোখে বয়েসি এই বুড়ি মা যেন জগতে জ্বলন্ত উদাহরণ। উনাকে দেখার পর এমন লাগে আমার। আমার প্রয়াত মা কে বিষম মনে পড়তে থাকে … দুচোখ ঝরে মায়ের তরে।
মে। ২০১৫ সাল।
ঢাকা। বাংলাদেশ।
রায়হান তানজীম বলেছেনঃ
ধুমধাম করে পালন করা মা দিবস হলেও আমাদের দেশের মায়েরা অনেকেই সন্তান দ্বারা বিতাড়িত 🙁 যায় হোক শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ , বকুল ফুল আমার অনেক প্রিয়
নুরুন্নাহার শিরীন বলেছেনঃ
তানজীম, হ্যাঁ, এইদেশে বহু মায়ের দিন জীবিত কালেই এমন যায় … এমন কাটায় উনারা বৃদ্ধ বয়সে … গর্ভধারীনি মায়েরে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠায় ছেলে এমন বহু নজির হায় ! কি বলি … কি লিখি কতটা আসে লেখায় ??? 🙁
নীলকণ্ঠ জয় বলেছেনঃ
আপুনি, স্বপ্নহীন পৃথিবীর যাত্রাপথে একদল স্বপ্নাতুর মানুষ আছে বলেই পৃথিবী এখনো মানবিক। প্রত্যাশা স্বপ্নের মানবিক পৃথিবীর। আপনাকে এবং আমাদের ভাইয়াকে আন্তরিক অভিবাদন।
নুরুন্নাহার শিরীন বলেছেনঃ
জয়ভাই, তোমরা আমাদের আশার চিলতে আলোকবাতি …
স্বপ্ন আজও তোমরা আমাদেরই পাশে দাঁড়াও বলে খানিক দেখি।
শিশুরা তোমাদের দেখেই মাকে ভালোবাসতে শিখবে অধিক … স্বপ্ন এমন দেখি। 🙂