মালির যতনে ফুটেছে রঙ্গনফুল।।
আমাদের নতুন ভাড়া বাড়িতে নিজের ব্যালকনিতে ফুলপ্রিয় হলেও বেশ বছর টবে একটা চারা গাছও লাগাতে পারিনি। হাত দিলেই নখে ইনফেকশন বাড়ে। এবঙ বড়ো যাতনাকর এন্টিবায়োটিক সেবন। পুরোপুরি সারে না তবু। এখন হাতে সাবান-পানি-মশলা-ময়লা লাগানো একদম নিষেধ ডাক্তারের। কি আর করা, মেনে উপায় নাই, মানতে হয়। এমনিতেই অসুখের সনেই সহবাস করছি … তাই, হঠাৎ কারও ব্যালকনির টবে দারুণ রঙ্গনফুল ফুটেছে দেখে আমিও ততোধিক দারুণ মুগ্ধ দুচোখে দেখি।
এখানে আমাদের ভাড়াটে বাড়ির নীচের লবিতে মাঝেমাঝে সোফায় বসি। কোথাও যাবার সময় ড্রাইভার না আসা পর্যন্ত। তখন অই সময়টুকু কাটাই আশপাশের কোথায় কেমন দৃশ্য দেখেই।
বাড়ির পেছন সাইডে এক চিলতে ঊষর জমিনে বাড়িঅলা বাগান বানানোর খায়েশে মালি রেখেছেন । মালিটা সকাল-বিকাল আসে। সে বেশ যতন করেই চারা লাগায়। ফুল ফোটাতে চায় বলেই রোজ মাটিতে নিড়ানি চালায়। জল ঢালতে থাকে। দেখতে বেশ লাগে ও দেখি – আজই হঠাৎ – বাহ – বেশতো সবুজ পাতার ফাঁকে ঝোপালো লাল ফুটেছে রঙ্গনফুল !
ঝটপট মোবাইলটা অন করেই ক্যামেরাবন্দী করেছি। কৃতিত্ব বাড়িঅলার খায়েশের না মালির ? ভাবি, মালির যতনে ফুটেছে ফুল ঊষর জমিনে যখন – তখন কৃতিত্ব মালির। তাই নামকরণ করলাম – "মালির যতনে ফুটেছে রঙ্গনফুল"।
পাঠকরাই দেখুক আর বলুক নামকরণ সঠিক না কি বেঠিক … আজকাল আমার অনেক ভুলও হয় … বয়সে ধরেছে জেঁকেই … তাই হয়তো ফুলের নামটিতেও সন্দেহ নিজের মনে – সঠিক লিখেছি তো? বেঠিক লিখে থাকলে পাঠক ভাইবোনরা ঠিক ধরিয়ে দিন … বয়স বিষয় ভাববেন না কেউ। বয়েসীদের ভুলচুক অধিক হয়। মেমেরি লস যাহাকে বলে আর কি !
কার্তিক। ১৪২২ বঙ্গাব্দ।
ঢাকা। বাংলাদেশ।