সুদিন আসবে বলেই আজও বাঙালি অপেক্ষায়

নুরুন্নাহার শিরীন
Published : 3 Nov 2015, 07:35 PM
Updated : 3 Nov 2015, 07:35 PM

বাংলাদেশ কারও আচমকা ঘোষণা হতে স্বাধীন হয়নি আমরা জানি। একটি সময়োচিত বজ্রকণ্ঠের সঠিক নেতৃত্ব না পেলে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়া সুদূর পরাহত একটি স্বপ্ন হয়েই থাকতো আজও। অভিজ্ঞান হতেই লেখা। বানোয়াট না। মিছে ইতিহাসের পাতা ঝেঁটিয়ে সাফ করার সময় হয়েছে আজ। অনেক মিছে শুনেছে কোমলমতি শিশুরা এইদেশে বঙ্গবন্ধুহত্যা কান্ডের পরের সেনাসাশিত সময়ে দীর্ঘ বছর ধরে। ইশকুলের পাঠ্য বইয়ে ডাহা বানানো ইতিহাস পড়েছে এদেশের শিশুরা বহুকাল। যা ছিলো চরম কপটচারী স্বৈরাচার। সেসব কাল বিগত আজ। বাংলাদেশ আজ জগতে সুপরিচিত একটি দেশ বঙ্গবন্ধুকন্যার পরিচালনায়। গর্বিত হয় না কারা? এমন বাঙালি কে আছে এইদেশে?

অনেক সাধের এই বাংলাদেশে আজ কাদের কোপ মারার সাধ? মাঝেমাঝেই কোপ মারছে মুক্তমনা লিখিয়েদের ঘাড়ে? অথচ, তবু, এই যে মারা পড়ার   পরেও ভীত না হয়ে প্রতিবাদে নামছে পথে হাজার মানুষ … মানুষ হাত উঁচিয়ে শ্লোগানমুখর রাজপথে … অনেকে মৌন মিছিলে প্ল্যাকার্ড উঁচিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে … বীর বাঙালি সত্ত্বাধিকারী তারাই। যে বীর বাঙালি ভূঁইফোড় ভুয়া না। তারাই বঙ্গবন্ধুর নিখাঁদ অনুসারীর দল – হাসতে-হাসতে মরতে জানা বাঙালি জাতি । বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আজ তেমন বীর বাঙালিদের নেত্রী। বাংলাদেশের দৃঢ়চিত্ত প্রধানমন্ত্রী। বহু বিরূপ সমালোচনা, বহুল ষড়যন্ত্রের মুখেও ধৈর্যের উদাহরণ। বসে আছেন গ্রেনেডসম গদিতে। এত কুটিলতার মোকাবিলা করেই তিনি সফল নেতৃত্বের উদাহরণ হয়েছেন। এবঙ হাজারতর ষড়যন্ত্রের পরেও টিকে আছেন একজন হার না মানা নেত্রী হিসেবে একাত্তুরের যুদ্ধাপরাধীদের উচিত বিচারিক রায়ের প্রক্রিয়া কার্যকর করবার আইনী ধারামতে এগিয়ে নিতে কঠিন, অবিচল। তাই তো সামান্য লিখিয়ে মানুষ হলেও আমরাও সাহসে ধরি কলম … পজিটিভলি দেখতে চাই সকল অবিচারিক ঘটনাবলি … অস্বাভাবিক মরণগুলি … কেননা, আমরা আস্থাবান, বিবেকবান স্বাভাবিক মানুষ। তাই আমরা পজিটিভ ধারণা নিয়ে এগিয়ে থাকা মানুষ রূপে বাঁচতে চাই বলেই আস্থা রাখতে চাই বঙ্গবন্ধুকন্যার পরিচালিত আজকের বাংলাদেশের নেতৃত্বের উপর। তিনি না হলে আজকের বাংলাদেশ বিশ্বে পাত্তা পাবার যোগ্য হতো না। তিনি না হলে সাকা-মুজাহিদরা বিচারিক রায়ের মুখোমুখি কাঠগড়ায় দাঁড়াতো না কোনওকালে। এই সব সহজ সত্যটি বুঝতে না পারার কথা না – যদি না আমরা হই বুঝেও না বোঝা চরম দলকানা। যারা কোনও কালে বোঝেনি। ওরা কপটচারী। ওরা কোনওদিন বুঝবে না – বাংলাদেশ আজ কি করে আজকের বাংলাদেশে পরিণত। তাইতো বলি – বোঝার প্রশ্ন আসে না যাদের বেলায় – আমরা কি জানি না – ওরাই মরিয়া আজ? তাহলে কেন অযথা পুলিশ-ফুলিশ / এ্যামনেস্টি / আইএস ওসব ন্যাস্টি বিষয়ে মাথা ঘামিয়ে বেহুদা সময় অপচয়? আমরা যদি সবাই সন্মিলিত ভাবেই একতাবদ্ধ মরিয়াদের বিরুদ্ধে দাঁড়াই … কলম চালাই … ভীত না হই … নেগেটিভ সমালোচনা না করে পজিটিভলি ধারণা নিয়ে এগিয়ে চলি … ওরা কি আমাদের সবার ঘাড়ে কোপের পর কুপিয়ে পালাতে পারবে? পালাবে কোথায়? ওরা কি অদৃশ্য কোনও ভূতপ্রেত? ওরা কি উপরঅলা প্রেরিত জ্বিন? আজরাইল?

আজ সময় হয়েছে বোঝার। আজ সময় হয়েছে মরিয়াদের মোকাবিলার। দেখেছি ঢের অনেক বয়স পেয়েই। তাই বুঝেছি – কারা এদেশে আজও মরিয়া খুনে রাঙায় হাত। কাঁপে না এতটুকু কাদের হাত মানুষ খুন করতে। কোপ বসাতে। ওরা সবসময় ওঁৎ পেতেই ছিলো আগেও। এখনও আছেই। তা থাকুক। বিচার শেষ না হওয়া তক ওদের খুনখারাবি মাঝেমাঝেই ভয় দেখাবে। কিন্তু এদেশে মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত। মসজিদেও ওরা অনাচারের চরম ঘটিয়ে ছাড়ে। তো, আজ পাবলিকের মাইর খাওয়া কপালে লেখা ওদের। দিব্যচোখে যাদের চোখ দেখতে পায় পজিটিভলি ভবিষ্য বাংলাদেশ … তারা দেখছে – সুদিন আসছে … আসবেই। সেদিন কোপমারা দলের হার হবেই হবে। বর্তমান অগ্রসরমানতা ঠেকিয়ে রাখা ওদের সাধ্যাতীত কাজ। তাইতো ভাবি – পালিয়ে পার পাবে না পাপাচারী । তেমন সুদিন দেখবো বলে – আমরা অপেক্ষমান আজও। অপেক্ষায় সুফল ফলে – এমন ধারণা এদেশে প্রবাদের মতোন বলে আমার আশাবাদী মন আশায় জ্বলে … আবার সোনালি ফসলে বাংলাদেশের সুদিন জ্বলবে জলেস্থলে।

কার্তিক। ১৪২২ বঙ্গাব্দ।
ঢাকা। বাংলাদেশ।