২০১৫ সালের বছর শেষের শুভকামনা- ‘শুভ নববর্ষ ২০১৬’

নুরুন্নাহার শিরীন
Published : 29 Dec 2015, 07:58 PM
Updated : 29 Dec 2015, 07:58 PM

সচরাচর ইংরেজী সালের হিসেবেই দিন-ক্ষণ-মাস-তারিখে অভ্যস্ত আমরা। বিশ্ববাসী ইংরেজীকে ইন্টারন্যাশনাল ভাষার স্বীকৃতি দেয় নির্দ্বিধায়। তাইতো ডিসেম্বর ফুরোলে আমরাও স্বাগত জানাই নতুন সাল কে। আর একটি মাত্র শীতের রাত পোহালে ছড়িয়ে পড়বে ভোরের নতুন সূর্যালোকে নতুন আশার বারতা লয়ে ২০১৬ সাল। ২০১৫ সালের সকল সুখদুখের সালতামামী ঝেড়ে মানুষ আগামীর নতুন স্বপ্ন বুনবে। এইভাবে মানুষ ভুলে থাকতে চায় বিগত যত যাতনাকর দুঃখদিনের সাতকাহন। এই মানব চরিত্রের একটি স্বভাবজাত নিয়ম।

নিয়মেরই নিগড়ে বাঁধা অনিয়মের নিত্য ঘটনা ঘটমান এখনকার বিশ্ব জুড়েই। আমরা দেখেছি ২০১৫ সালের কাঙ্ক্ষিত-অনাকাঙ্ক্ষিত অনেক রাষ্ট্রীয় ঘটনাবলী। অনেক মর্মপীড়াদায়ক অপরাজনীতির চক্রে অনেক প্রাণ সংহারের সকরুণ ঘটনাবলী। অনেক দখল-বেদখলের সচিত্র প্রতিবেদন দেখে হয়েছি প্রতিবাদী। অনেক অগ্নিদাহে হয়েছি জর্জরিত। অপর বেদনায় ব্যথিতচিত্তে করেছি বিচার দাবী। অনেক অনিয়মের মাঝারে চেয়েছি দেশের উন্নতি। নতুন ব্রীজ, নতুন আশার হাতছানিতে মেতে উঠেছি। এদেশে বহুকালের কাঙ্ক্ষিত একাত্তুরের যুদ্ধাপরাধীদের আইনসঙ্গত দণ্ডাদেশ কার্যকরের ইতিহাস রচিত হওয়ায় হয়েছি আপ্লুত। রোজের রাশিচক্রপাঠে যা কিছু শুভ তারই ইঙ্গিতে হয়েছি উদ্বেলিত। অশুভ-অমঙ্গলের অশনিচিহ্ন চেয়েছি দূরে হঠাতে। অর্থাত আমরা মনেপ্রাণে প্রাণিত হই যা কিছু শুভ তারই পানে। তারই পানে ধাবিত আমাদের হৃদয়।

তাইতো আমরা একদা এদেশে গোলাভরা সোনালি ফসলের কাহিনী শোনাই নতুন শিশুদের। রূপকথার জিয়নকাঠি ছুঁইয়ে মৃতপ্রায় হৃদয় জাগানিয়া ভাসানে ভাসাই হৃদয়। যা কিছু একদা ছিলো আবার সব সবার ঘরেঘরে ফিরবে বলে কবিতা লিখি। অথবা গানের ভাষায় চাই লিখতে হৃদয় মথিত সুর। অথবা বানাই সিনেমা। আঁকি মনের মাধুরী মিশিয়ে চিত্রকলা। জগতে তাই রচিত চিত্ত বিনোদনের শতেক উপকরণ। তাতে কি তেমন কমে শীতার্তের শীতে কাতর কুঁকড়ে থাকার দিন রাতের সংগ্রাম? কমে না। তবুও আমরা হাত বাড়াই স্বল্পমাত্রায় হলেও। হাত বাড়িয়ে দেয়ার নাম আশার আলো। নতুন বছরের মতোন আশা জাগানি কিছু বারতা হয়তো রচিত হয় তখন। সেসব খবর হয় তখন। সে হয় আশার হাত।

সে আশাময় হাতগুলি ধরেই বিশ্বে আসুক নতুন বছর ২০১৬ সাল – শুভকামনা আজ। ২০১৫ সালের শেষ দিনটি ভালোয়-ভালোয় শেষ হউক। সুস্বাগতম ইংরেজী নববর্ষ ২০১৬ সাল। সারাটি বছর শিশুরা নিরাপদে থাকুক। মানুষ থাকুক নিরাপদে। এ বিশ্ব সকল শিশুর বাসযোগ্য হউক। জগত হউক নিরাপদ পরম ঠাঁই। চাওয়া এটুকুই।

৩০-শে ডিসেম্বর। ২০১৫ সাল।
ঢাকা। বাংলাদেশ।