২০১১-র বিস্তর আনন্দ-বেদনা-সাফল্য-ব্যর্থতা সুদ্ধো ২০১২-র জন্য বিশ্বময় কত না আয়োজন কত না শ্রুতি-প্রতিশ্রুতির বাহাস শুনছি ডিজিটালি !! তথাপি কেন কিছুই মনের মতোন নয় !! মন কেন শুনতে পায়না যথার্থ জাগরণ-এর বাজনা !! যে বাজনা বেজেছিলো সর্বস্তরে অবিভাজিত বাংলায় বৃটিশ শাসনের বিরুদ্ধে, ১৯৫২তে পূর্ব-বাংলায় পশ্চিম-পাকিস্তানের অন্যায়-এর বিরুদ্ধে, ১৯৬৯এ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের 'পরে অন্যায়ভাবে 'আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা'-র বিরুদ্ধে আর ১৯৭১এ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক নেতৃত্বে গর্জে ওঠা জনসমুদ্র পাকি-জান্তার বিরুদ্ধে। হৃদয় কি তবে সেভাবে আর বেজে উঠতেই ভুলে গেছে !! কিসের অভাব তাহার? কি তাহার হৃদয়ভার?
মন বলেঃ কি আবার, সেতো সুদীর্ঘ এক যাতনাভার, বাংলার অনাকাঙ্ক্ষিত অবদমনের-অপরাজনীতির চিৎকার, অদ্ভুত বৈপরীত্বের বিস্তার। যাকে বলা যায় অন্ধকারের ভয়াল পাহাড়। প্রায় আত্মঘাতি লাফিয়ে পড়ার মতোই থাবা তার। আমরা কি পারিনা নেতৃত্ব-শূণ্যতা কাটিয়ে আবার সেই জাগরণের জোয়ারে ভাসাতে বাঙালি মনন? আমরা কি পারিনা আবারও অতন্দ্র জাগ্রত মায়ের তরে নতুন করে জেগে উঠতে?
মন বলেঃ নতুন আবাহনে বেজে ওঠার মন্ত্রণাটি কিন্তু রক্তের গভীর ছুঁয়েই বেঁচে আছে আজও, কেবল সঠিক মাত্রায় শিকড়ে জল পড়া চাই, তবেই সমবেত আওয়াজ উঠবে বেজেঃ
কান পেতে আজ শোনরে ভাই
আমরা জল আমরা ঢেউ আমরা আজ নদীর শপথ শোনাই
রক্তজলের অক্ষরে লেখা আমাদের বাংলা মায়ের ইতিহাস ভাই।
আমরা সেই ইতিহাস ছুঁয়ে জেগেছি তাই।
মহাকালের ঐতিহাসিক সমস্ত সত্য কিন্তু এই সত্যই বলে গেছে যুগে-যুগে যে একবার মানুষ জেগে ওঠার সঠিক মন্ত্রণা পেলে হাজার অশনিজাল চিরেই জয় ছিনিয়ে নিতে জানে। এবঙ হাজার সমস্যাজাল চিরে আলোর বাজনা শুনতে পায়।
আমার একান্ত প্রার্থনা আজঃ ২০১২সাল যেন প্রিয় বাংলাদেশের বাজনা বাজায় বিশ্বময়।
১জানুয়ারী ২০১২ইং