১৪ ফেব্রুয়ারী ভালোবাসা দিবসে বাংলাদেশের অন্যতম প্রিয় অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদি-র মরদেহ স্বজন-পরিজন-ভক্ত-বন্ধুর ফুলে-ফুলে ছেয়ে গেলো, সজল চোখে দেখেছি মিডিয়ায়। আমার তখন কেবলই মনে হচ্ছিলো আহ, মানুষ এভাবেই একাকী যায়, যেতে হয়, অমোঘ ডাক এলেই চলে যেতে হয় প্রিয় জগতবাড়ির সমস্ত ছেড়েছুঁড়ে অচিন না ফেরার দেশে, একদম দোসরবিহীন। যে যায় সে তখন জগতে কেবলই ছবি। আদতে এ এমন সত্য যার আর কোনও অন্যমাত্রা / অন্যজীবন অসম্ভব।
তথাপি প্রকৃত শিল্পীরা কিন্তু সমাহিত হয়েও বেঁচে থাকেন সহস্র অনুরাগীর মনে। এবঙ হুমায়ুন ফরীদি তেমনই এক বিরলপ্রজ মেধাবী অভিনেতা। যাঁর অভিনীত সহস্র নাটক-চলচ্চিত্রের চরিত্রগুলো জীবন্ত হয়ে আছে অজস্র মানুষের মনে। এবঙ থাকবেও। কেননা এতটা চরিত্রানুগ অভিনয় প্রতিভা সহজে জন্মায়না। তাঁর মধ্যে সহজাত সেই জাতশিল্পীর ক্ষমতা প্রতিটি চরিত্রকে এতটাই বাস্তব রূপ দিয়েছে যার জন্য তিনি আরও বহুকাল অজস্র ভক্তের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন।
আজ আমার তাঁর প্রথম বেলি ফুলের বিবাহ-র ছবি মনে পড়ছে, যা তখনকার স্মরণকালের হৃদয়জয়ী বার্তা হয়েছিলো। একজন মহৎ শিল্পী স্বত্তাই পারে সোনা নয় হীরে নয় কেবল বেলি ফুলের সমারোহে বধূ বরণ করতে। তাইতো হুমায়ুন ফরীদি এক অবিস্মরণীয় শিল্পী স্বত্তা রূপে জয় করেছেন অগণিত ভক্ত-বন্ধুর মন। মৃত্যু তাঁর স্মৃতিকে কেড়ে নিতে পারবেনা প্রিয়জনের মন থেকে।
আজ আমার প্রণতি তাঁর বিদেহী আত্মার স্মরণে। সর্বশক্তিমান আল্লাহ যেন তাঁর চির শান্তির বিধান করেন, এই প্রার্থনা জানাই। আমেন।