শাস্ত্রীয় বাণী মনে আসছে আজ

নুরুন্নাহার শিরীন
Published : 10 March 2012, 12:41 PM
Updated : 10 March 2012, 12:41 PM

বাংলাদেশ পেরিয়েছে স্বাধীনতার চল্লিশ-চল্লিশ বর্ষকাল, দ্বিতীয়বার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ এর, তিনিও পিতার মতো জাতির কানে অভয়বাণী শোনানোর চেষ্টারত সদাই। কিন্তু জাতি কি আজও শঙ্কামুক্ত ? আজও কি স্বাধীনতাবিরোধী চক্র সক্রিয় নয় ? আজও কি আমরা শুনছিনা যখন-তখন তাদের অসত্য-সদম্ভ উচ্চারণ ? আজও কি তাদের হুমকি-ধমকিতে অশনি-অমঙ্গলের আশঙ্কায় কেঁপে উঠছেনা জনসাধারণের অন্তর ?

দুঃখজনকভাবেই সত্য যে আজ শেখ হাসিনা সরকার অনেক অনিয়ম অনেক অভিযোগ কাঁধে নিয়েই পার করছে স্বাধীনতার চল্লিশ বর্ষ, চল্লিশ বর্ষের অর্জন-বিসর্জনমালা সুদ্ধোই জনদাবী পূরণ করে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারিক কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে , তাদের হাতে হাতকড়া পড়েছে , হাজার-হাজার জঙ্গী ধরা পড়েছে, কিন্তু বাংলাদেশ থেকে অপরাজনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধ করতে পারেনি। বরঞ্চ আজ প্রথম এইদেশে কূটনীতি পাড়ায় একজন সউদী কর্মকর্তা খুন হওয়া নিয়ে নতুন আশঙ্কার জন্ম হলো। যা নিয়ে স্বাধীনতাবিরোধীগঙের নতুন খেলায় মেতে ওঠার সম্ভাবনাই প্রবল। ইতোমধ্যে বিএনপি দফায়-দফায় বৈঠকে বসছে বিভিন্ন কূটনীতিবিদদের সঙ্গে, প্রধান সহযোগী দল জামায়াতের প্রত্যক্ষ মদদে। এ নিশ্চয় জনমনে অনেক ভীতির জন্ম দিচ্ছে , যা কাম্য না হলেও ঠেকানোর জো নেই, কেননা ১২ মার্চ এ বিরোধী দলের কর্মসুচী 'চলো চলো ঢাকা চলো'-র বিএনপি-জোটের সঙ্গে আরও অনেক জ্ঞানপাপীরাও আছেন। তো, জনমনেতো আশঙ্কা জন্ম নেবেই।

এমনিতেই হাজার সঙ্কটজালে আবদ্ধ জনজীবনে ব্যাধ ও ব্যাধির দাপট। উপরন্তু যদি মড়ার 'পরে খাড়ার ঘা এর মতোই নেমে আসে রাজনৈতিক কর্মসূচীর দাপট, জনগণ তবে কি করে শান্তিতে ঘুমোয়!

এই ভেবেই আজ আমার মনে আসছে তবু কিঞ্চিত অভয়ের শাস্ত্রীয় বাণীঃ রে ব্যাধ, তোর বিস্তার হবেনা, দেখিস। সেইসঙ্গে একান্ত প্রার্থনার মতোই জপে যাচ্ছি একই বাণীঃ রে ব্যাধ, তোর বিস্তার হবেনা, দেখিস।

সামান্য একজন সচেতন নাগরিকের / লিখিয়ের এর চে' অধিক কিই বা চাওয়ার / লেখার আছে !!! নিজের সদ্য লিখিত একটি কবিতা যুক্ত করছিঃ
শিরোনামঃ আস্থা ও বাতসল্যের শিকড়জল
আমাদের ঘন-বুনো ঊষর বাগানে রুয়েছিলেন মা
তীব্র লাল রক্তজবা।
পাশে যুঁই আর আদিগন্ধী ভূঁইচাঁপা।
দেখে বাবা বলেছিলেনঃ আহারে ফুলপ্রিয়া !
এ ঘেসো বাগানে পাতাবাহার যদি বা হয়,
প্রিয় ফুল ফোটা, বড়ো অসম্ভব মনে হয় !

মা তবু বিকেলে রোজ জল ঢেলে সযত্নে রেখেছিলেন
জবাযুঁইভূঁইচাঁপামূল, যেন প্রায় ছেলেপুলেই পেলেন !
আর, অচিরেই কি আশ্চর্য
গজালো তাদের কচিকাচা ডালপালা আশ্চর্য জীবন্ত !

এবঙ ক্রমেই ঘন সবুজিয়া ঝোপালো পাতায়
তারা এমন নজরকাড়া যেন অবিশ্বাস্য প্রায় !
অভিভূত আমরা ভাইবোন ও বাবা একদম বাক্যহারা !
মৃদুমুখী মা কেবল হেসে বলেছিলোঃ বাতসল্য দিয়েছি না !

আমার কবিতাটি জনসাধারণের হয়ে প্রিয় বাংলাদেশ এর স্বাধীনতার মাসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী-র মাতৃসম বাতসল্য কাঙ্ক্ষায় নিবেদন করলাম সকল অশনি-অমঙ্গলের পদধ্বনির বিরুদ্ধে। জয়বাংলা।

১০ মার্চ ২০১২ ইং