আজ কি সম্ভাবনার বাংলাদেশ হাঁটবে সম্ভাবনার পথে …

নুরুন্নাহার শিরীন
Published : 7 May 2012, 09:52 AM
Updated : 7 May 2012, 09:52 AM

এই ছবিটি ইয়াহু ইমেজ থেকে শেয়ার করা। ছবিটি গর্বিত হবার। যাতে ধারণ করা এক সম্ভাবনাময় উড্ডীন বাংলাদেশ। যার স্বপ্ন আজও এদেশে অনেক লোকজন ছেঁড়া কাঁথায় শুয়েও দেখে। আমিও তাদেরই দলের একজন। রোজই এই স্বপ্নে বিভোর হয়ে লিখি, লিখছি যখন যা খুশি খেরো খাতায়, ব্লগে, ফেসবুকে। শেয়ার করছি যেন বা কি একখানা মহৎ কাজ-ই না করছি ভেবে।

আদতে চিত্রটি মোটেও তেমন না। বড়জোর সম্ভাবনার ছিটেফোঁটার জোয়ারে ভাসমান একটি ঢেউয়ের মাথায় একবিন্দু রূপোলি জলকণা মাত্র। তাতেই এদেশে আমার মতো লক্ষ মানুষ নিত্য ডোবে আবার ডুবে যেতে-যেতেও খড়কুটো আঁকড়ে ভেসে ওঠে। জানিনা আদৌ উড্ডীন স্বপ্নের ঘুড়িটি আমরা নিজের হাতে ওড়ানোর অধিকার পাবো কি পাবো না …. তবুও সম্ভাবনার জলকণায়

"আমায় ডুবাইলিরে / আমায় ভাসাইলিরে / অকুল দরিয়ার বুঝি কুল নাইরে"

এই ভাইটালি সুরের যাদু রক্ত কণিকায় ধারণ করে ভেসে থাকি। বেঁচে থাকি। স্বপ্নের পথে হাঁটি …. রোজ-ই মনে মনে ওড়াই স্বপ্নের হাজার ঘুড়ি সাদা-লাল-হলদে-সবুজ-বেগুনি পাঙ্ক্ষিদারি সব নানা রঙের ঘুড়ি। জটিল কলোনিয়াল জীবনতলে স্বপ্নজাল বুনি ও কুয়াশাময় সাঁজালে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়ানো মানুষ হয়েও খনিক মুক্তির গন্ধটুকু পেতেই বহুভাবে বহুদিকে ছুটন্ত ভাবনার সমিদ্ধে শিখাময় জ্বলি। এপারে যে নদীটি একা তার পাশে বসি। আবার ওপারের গঙ্গার ঘোলা জলের কিনারে অজস্র ভাসমান রূপোলি জলকণার তরেও পড়শির সহজাত মনোজিয়া ঘোরে দু'চার ছত্র লিখতে বসি। সেরকমই কোনও এক মুহূর্তে লিখেছিলাম সামান্য কয়েক লাইন, আজ ব্লগে শেয়ার করছি ….

"ও আমার প্রিয় বাংলাদেশ ওড়ো
থেমোনা কিছুতে মুখ থুবড়ে পড়োনা
সম্ভাবনার আকাশ থেকে আকাশে ওড়াও ঘুড়ি।
আমরা তোমায় মুগ্ধ চোখে বারবার দেখি আর অহঙ্কারের দুহাত ধরে পুড়ি।

ও আমার প্রিয় বাংলাদেশ জাগো
জাগাও পড়ন্ত আলো ঘুমিয়ে পড়োনা।
তোমায় দেখার চোখ হারিয়ে না ফেলি
স্বপ্নপোড়া মাঠে-মাঠে শ্রম-ঘামের লাঙল ঠেলি।

তুমিহীন আমাদের কোথাও কোনও ঠাঁই নেই
যতদূর যেখানেই যাই যোজন প্রবাসে
তোমারই জন্য কাঁদি মনে মনে নির্জনে-প্রকাশ্যে।
ছেঁড়া কাঁথায় শুয়েও তোমারই জন্য স্বপ্ন বানাই থাকি না যেখানেই।"

এইটুকুই আজ বলার ছিলো বলেই লিখলাম। যদিও আজকাল প্রায়শঃ ভাবি কি হয় লিখে ! তার কি আর সত্যই ডানা গজাবে ! সে কেবল নিতান্ত ছিন্ন পাতার ভেলা হয়তো। হয়তো তাও না। কেবলই আদ্যন্ত শব্দভর্তি সাদাটে কাগজের ডানা হবার প্রাণান্ত প্রয়াস। তবু আকুল হয়ে রোজের সূর্যোদয়ে আর সূর্যাস্তে প্রার্থনায় ভাসি। একান্তে নতজানু হই আর অসীম দয়াবান আল্লাহ-র কৃপাভিক্ষা করি। যেন সম্ভাবনার বাংলাদেশ হাজার মৃত্যু হাজার উত্থান-পতন-এর মধ্যেও আমাদের স্বপ্নে বাঁচুক। বাঁচিয়ে রাখুক আগামীর স্বপ্নবানের হাত। আমার আর কোনও স্বপ্ন নেই।

২৪ বৈশাখ ২০১২ ইং