একটি জরুরী ভাবনাজাল …

নুরুন্নাহার শিরীন
Published : 30 May 2012, 12:32 PM
Updated : 30 May 2012, 12:32 PM

এই ছবিটি কিন্তু নিকট অতীতের পুলিশি এ্যাকশন-এর ছবি। এবঙ সেই বৃটিশকাল থেকেই পুলিশের এমনতর এমন কি এরচে' ঢের বেশি মারমুখীন অপততপরতার রক্তাক্ত ছবি দেখে-দেখে দুচোখ থেকে অশ্রুর বদলে রক্তই ঝরে পড়েছে ঢের …. তবুও এই পুলিশ যাদের তাদের মোটেও উদ্যোগ নেই এদের একটু গণতান্ত্রিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার …. আধুনিক ধ্যান-ধারণাপুষ্ট করার ….

ধরে নিলাম অতীতেতো নাহয় গণতন্ত্রই ছিলোনা …. কিন্তু এখন !! এখনও গণতন্ত্র কি বেঁচে আছে !! শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছে !! যাদের হাতে গণতন্ত্রের রজ্জু তারা কি সেই রজ্জুটি কষে বেঁধেছে জনতার গলায় !! তাই কি আমরা দমবদ্ধকর সেঁধিয়ে যাচ্ছি বিকট কোনও আন্ডারগ্রাউন্ড অতলে !! আমাদের বাঁচাবেন যিনি তিনি কি আদৌ গণতন্ত্রের মূলমন্ত্র নতুন করে অনুধাবন করার কাজটি হাতে নেবেন একটি জরুরী কাজ হিসেবে !! তিনি কি জরুরীভাবে তাঁর প্রশাসনের সকল ব্যার্থতা থেকে উদ্ধার পেতে দ্রুতগতিতে প্রশাসন-এর ভূতকে তাড়াবেন !! বিশেষ করে পুলিশ-বাহিনীর মধ্যে অতীতকাল থেকে জাঁকিয়ে বসা সকল ভূতকে জরুরী অপসারণ না করলে তারাই এক-একজন আবার মূর্তিমান "কোহিনূর মিয়া" হয়েই আবির্ভূত হবেন, ইতোমধ্যে আমরা সেই আলামত-ই প্রকাশ্যে দেখছি !! এখনই সময় জনস্বার্থে এইসব ভয়ঙ্কর-অযোগ্যদের অবিলম্বে বসিয়ে দিয়ে সুযোগ্য-অভিজ্ঞ-মেধাবীদের কাজে লাগিয়ে সুশাসন কায়েম করবার !! সময় প্রায় যায়-যায় লগ্নেও যদি এসব সঠিক ও কঠিন লক্ষ্য নিয়ে সরকারের সর্বোচ্চ আসনে থেকে সর্বশক্তি দিয়ে সফল করে তোলার জন্য সচেষ্ট হওয়াটি শুরু করা যায় তাতেও হয়তো আমরা পরিত্রাণ-এর আশালতাটি খড়কুটোর মতোই আপ্রাণ আঁকড়ে ধরে থাকার চেষ্টা থেকেই বেঁচে উঠতে পারি, পারি আপন বাসভূমে স্বস্তির সাথে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে। আমার আজকের লেখায় এটুকুই কেবল বলবার ছিলো, সঠিক মাত্রায় বলতে পারলাম কি না জানিনা।

মোদ্দাকথা আমরা আমাদের নাগরিক নিরাপত্তার জরুরী হাতটি চাই। না পেলে অকালমৃত্যু অবধারিত মনে হয়। আমরা আর জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় নিয়োজিতদের আত্মঘাতি-অসার-অপালন-এর দায়িত্বে থেকে নির্মম ভূমিকায় দেখতে চাইনা, শুনতে চাইনা তাদের হাস্যকর নাটুকে সংলাপ টিভিতে, মিডিয়ায়। এবঙ যার / যাদের নির্দেশে পুলিশ নির্দয় চড়াও হয় নারী / জনতা / সাংবাদিকের 'পরে তারও যথোচিত শাস্তিবিধান চাই। এটুকু চাওয়া পূরণে সরকার ব্যার্থ হলে সেই সরকারের 'পরে আস্থার ভিত জিইয়ে রাখা নিশ্চয় দুরূহ বিষয় হয়ে যায়। আমরা এখনও সেটি চাইনা বলেই চাওয়া-পাওয়ার ক্ষীনতম সূত্র ধরেও কথা বলি / লিখি ….

৩০ মে ২০১২ ইং