গতকাল মিরপুর থেকে বিহঙ্গ বাসে করে আসছি কারওয়ান বাজারের অফিসে। প্রচণ্ড ভিড়, তারওপর প্রত্যেক স্টপেজে দাঁড়িয়ে লোক উঠাচ্ছে হেলপার। তীব্র গরমে যখন তালতলা আসলাম, মুখোমুখি হলাম যানজটের। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন এলাকা কষ্টে পার হলেও আবার থামতে হলো বিজয় স্মরণীর সিগনালে। আবার অপেক্ষা। কতক্ষণের জন্য সে হিসাবও বাদ দিয়েছি গরমের কারণে।
এখানে এসে একটা অভিজ্ঞতা হলো মিরপুরের গাড়ি ছাড়ার জন্য কোন তাগাদা অনুভব করছেন না ট্রাফিক পুলিশ। ফার্মগেট-মহাখালী রুটের দশ ভাগের এক ভাগ সময় দেয়া হয় ফার্মগেট-মিরপুর রোডে। যা হোক বেশ খানিক পর যখন ফার্মগেট পৌছালাম, গাড়ি দেখি আর চলে না। কী ব্যাপার? ড্রাইভার বললো, সামনের সার্জেন্ট দাঁড়াইতে বলছে।
আমিসহ আরও কয়েকজন গাড়ি থেকে নামলাম। সার্জেন্টকে জিজ্ঞাসা করলাম, গাড়ি থামানোর কারণ। তিনি তো মহা বিরক্ত, শেষমেষ যা বোঝাতে চায় তা হলো গাড়ি আর যাবে না, আপনারা অন্য গাড়িতে যান। লোকভর্তি গাড়ি সেখানেই থামিয়ে দিলো সার্জেন্ট। যাত্রীরা শুধু পিঁপড়ার মতো নেমে অন্য গাড়ি খুঁজতে লাগলেন। অথচ কেউই সার্জেন্টের কাছে জিজ্ঞাসা করতে পারলেন না, এতগুলো মানুষের যাত্রায় বাধা দেয়ার আইন আছে কোথায়। যাত্রাভঙ্গের প্রতিবাদ তো আরও বড় কথা।
জাতীয় নানা সমস্যাও আমরা একে একে মেনে নেয়ার অভ্যাস করছি। আমরা কি আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়ছি???