প্রিয় বন্ধুগণ! জানতে চান ইংল্যান্ডের কথা? পড়ুন প্রথম কিস্তি।

শফিকুল ইসলাম জীবন
Published : 19 August 2011, 05:03 PM
Updated : 19 August 2011, 05:03 PM

হ্যাঁ যে কথা বলছিলাম ইংল্যান্ডের অবস্থা এখন সত্যিই ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি। এখানে এখন পুরনো পারগলই ভাত পাচ্ছে না। সেখানে বাংলাদেশ কিংবা এশিয়ানদের মতো নন ইউরোপীয় আধমরাদের যে এখানে কোন স্থান নেই সেটি হালের ইমিগ্রেশন আইন আর কনজারভেটিভ সরকারের দমন নীতিতে পরিস্কার হয়ে গেছে।
আজকের বিবিসি, স্কাই নিউজসহ ব্রিটেনের প্রভাবশালী সংবাদপত্রগুলোর আরেকটি গুরুত্বপূর্ন খবর হচ্ছে এখন ইংল্যান্ডের বড় বড় শহরগুলোর অসংখ্য দোকানপাটে তালা ঝুলছে। অর্থনৈতিক মন্দার কারনে বিক্রিবাট্টা সিঁকে উঠেছে। বিশেষ করে ফ্যাশন শপগুলোর অবস্থা আরও সঙ্গিন।
ব্যাংক থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো আর আগের মতো অর্থ সহায়তা পাচ্ছে না। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের প্রত্যাশাকে শরাশায়ী করে দ্বিগুণ আকার ধারন করেছে মূল্যস্ফীতির হার। এখন আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সঙ্গতি রাখতে পারছে না ব্রিটেনের পরিবারগুলো। কোন রকমে খাদ্য, ইউটিলিটি বিল আর পরিবহন খরচ মেটাতেই তাদের অবস্থা হিমশিম।এই অবস্থায় ফ্যাশনের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে সবাই। এতো গেলো একটি দিক।এভাবে ইংল্যান্ডের গল্প এখন বলে শেষ করা যাবে না। যা বলতে চাই, তা হলো বাংলাদেশের যারা স্টুডেন্ট ভিসায় ইংল্যান্ডে আসতে চান তাদের সাবধান হওয়াটা খুবই জরুরী।আমার জানা মতে, বাংলাদেশের অনেক বড় বড় রাজনীতিক, আমলা, পুলিশ, মানে দুর্নীতিকতে আমরা যাদের রুইকাতলা বলি, তাদের ছেলেমেয়েরাও কিন্তু এখানে কাজ ছাড়া চলতে পারে না। কারন বাংলাদেশের আয় দিয়ে ইংল্যান্ডের জীবন যাত্রার ব্যয় মেটানো যায় না।অবশ্য দু'একজন যে চোখে পড়ে না তা নয়, তারা দেশের বাবা মা'দের ওপর ভর করেই দেদারছে এখানে পথ মাড়ায়।তবে সে সংখ্যা নেহাতই কম। যাদের সেই সামর্থৎ নেই তারা যেনো ইংল্যান্ডে আসার ব্যাপারে এখন সাত বার চিন্তা করেন।(চলবে)