খালেদা জিয়ার চিঠিতে শিষ্টাচার বহির্ভূত কি আছে?

পুস্পিতা
Published : 25 April 2011, 03:52 PM
Updated : 25 April 2011, 03:52 PM

মাননীয় চেয়ারপারসন,
সংবিধান সংশোধনের লক্ষে গঠিত বিশেষ কমিটি ও সংসদ উপনেতা

আসসালামু আলাইকুম,
দীর্ঘ ৯ মাস আগে ২১ জুলাই ২০১০ তারিখে সংবিধান সংশোধনের লক্ষে গঠিত বিশেষ কমিটির একটি বৈঠকে আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে পরামর্শ/মতামত দান করার জন্য ২০ এপ্রিল ২০১১ তারিখে লিখিত আপনার পত্রের জন্য ধন্যবাদ জানাই।

উপরোক্ত বিষয়ে আমাদের বক্তব্য নিম্নরূপ-

১। আপনার পত্রের সঙ্গে কোনো কার্যপত্র বা সংবিধান সংশোধনের কোনো সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব রাখা হয় নাই বা ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১১ সালে সরকারি গেজেট দ্বারা যে সংবিধান প্রকাশিত হয়েছে তার কপিও সংযুক্ত করা হয় নাই।

২। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১১ সালে সরকার কর্তৃক গেজেট দ্বারা পূর্ণাঙ্গ সংবিধান প্রকাশ করে আইনমন্ত্রী বলেন, মুদ্রিত সংবিধানই দেশের বর্তমান সংবিধান। অথচ সংসদকে পাশ কাটিয়ে সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করে এই সংবিধান ছাপানো হয়েছে।

৩। দেশের সকল শ্রেণীর মানুষ যখন এই মুদ্রিত সংবিধানকে জাতীয় স্বার্থবিরোধী একটি ষড়যন্ত্রমূলক প্রয়াস হিসেবে প্রত্যাখান করে তখন সংবিধান সংশোধনীর বিশেষ কমিটির কো-চেয়ারম্যান জানালেন যে ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১১ সালের প্রকাশিত সংবিধানটি একটি খসড়া সংবিধান। যার উপর ভিত্তি করে বিশেষ কমিটি আজ পর্যন্ত বিভিন্ন সময় নানা রকমের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। যা আপনার পত্রের সাথে সংযুক্ত করা হয় নাই।

৪। দেশের মৌলিক পবিত্র দলিল সংবিধানকে নিয়ে সরকারের পরস্পর বিরোধী সাংঘর্ষিক বক্তব্য এবং পদক্ষেপসমূহ দেশে এক চরম বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে। যার নিরসন অত্যাবশ্যক। সংবিধান সংশোধনীর ব্যাপারে সরকারের সঠিক অবস্থান কি তা দেশের জনগণ এখনো জানে না।

উপরোক্ত প্রেক্ষাপটে সংবিধান সংশোধনের জন্য আপনি যে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তা দূরভিসন্ধিমূলক। তাই আমরা মনে করি যে বিশেষ কমিটির এই প্রস্তাব যেহেতু সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করার একটি অপকৌশল মাত্র, সেহেতু এই বৈঠক অর্থবহ হবে না।

আপনার বিশ্বস্ত

খালেদা জিয়া
বিরোধী দলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন

আইনমন্ত্র্রী বলছে পুনর্মুদ্রিত সংবিধানেই এখন দেশ চলছে, সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলছে না ওটা খসড়া সংবিধান, একদিকে সরকার বলছে আদালতের রায় অনুযায়ী সংবিধান ছাপানো হয়ে গিয়েছে, অন্যদিকে সেই রায় রিভিউ করার জন্য পিটিশন দায়ের করেছে। এরপর পুনর্মুদ্রিত সংবিধান কাউকেই সরবরাহ করা হচ্ছেনা। সংবিধানের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে গোজামিল তো আওয়ামী লীগই করছে বলে মনে হয়।