গত ২৯ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের রামুতে যে নারকীয় ঘটনা ঘটে গেল গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ মতে তার সূত্রপাত নাকি উত্তম কুমার নামে এক বৌদ্ধ যুবকের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি ধর্মীয় বিকৃত ছবি ট্যাগ করা নিয়ে। ঘটনা যদি তাই হয়, তবে তা যারা ফেসবুক ব্যবহার করেন তাদের সকলের জন্যই চরম আতঙ্কের কথা। কারণ কেউ যদি আমাকে এ ধরণের বিকৃত কোন ছবি ট্যাগ করে বসে তবে তার পুরো দায় আমার কাঁধে এসে পড়বে আমাকে গ্রেফতার করে ট্যাগিত হওয়ার দায়ে বিচারের সম্মুখীন হতে হবে।
কিন্তু যে মহাশয়(!) ট্যাগটি করলেন তিনি কোথায়? তাকে না চিনে আমরা উত্তমকে চিনলাম কেন? কে আমাদের উত্তমকে চিনালো? তাকে শনাক্ত করা কি ভীষণ কঠিন? উত্তরগুলো কার কাছে পাবো? হামলাকারীরা কী বলবেন ট্যাগ করার দায় ট্যাগকারীর অপর নাপড়ে যাকে (হয়তো উদ্দেশ্যমূলক) তার উপর কেন পড়লো? আমাকে কে কী ট্যাগ করবে তার দায় কেন আমাকে নিতে হবে। অবশ্য এখানে বোধকরি ফেসবুকের ও কিছু দায় আছে, কারণ তারা যাকে ছবি ট্যাগ করা হয় তার নামটি আগে দেখায়, কিন্তু তাতো সব ব্যবহারকারীই জানে। তবে?
সত্যিই আমি ভীষণ আতঙ্কিত বোধ করছি। যে মানুষগুলো কেবলমাত্র ছবি ট্যাগ করার কারণে ( যদি ঘটনা সত্যি হ্যে থাকে?) একটি ধর্মীয় জাতি গোষ্ঠীর উপর এরকম নারকীয় হামলা চালাতে পারে তারা নিশ্চয় সম অপরাধে আমাকে ও আমার জাতি গোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলতে পিছপা হবেনা।
জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক!!
সেলিম আনোয়ার বলেছেনঃ
সকেলই মঙ্গল লাভ করুক।
সাদা কালো বলেছেনঃ
আলোচিত উত্তম কুমার বড়ুয়া দরিদ্র পরিবারের সন্তান এবং রামুতেই এক ছোটখাটো সাইবার ক্যাফে/কম্পুটারের দোকানের কর্মচারী এবং দোকানের মালিকের বন্ধুও। উত্তমের ফেসবুক পাসওয়ার্ড তার বন্ধুও (সে মুসলিম) জানতো। ওইদিন উত্তমের অনুপস্থিতিতে তার বন্ধু উত্তমের আইডিতে ঢুকে (এরকম তারা আগেও করেছে এবং তাদের জন্য এটা স্বাভাবিক একটা ব্যাপার ছিল) এবং কোরানের অবমাননাকারি উক্ত ছবিটা দেখতে পায় যা উত্তমকে ট্যাগ করা হয়েছিল।
সেসময় আরও কিছু কাস্টমার (স্থানীয় যুবক) দোকানে প্রবেশ করে এবং ছবিটি দেখতে পায়। তারা নিজেদের মোবাইলে ছবিটার কপি নেয় এবং উত্তমের দোকান মালিক বন্ধুও ছবিটি ফেসবুকে উত্তমের আইডি থেকেই বিভিন্ন যায়গায় পাঠায়/ট্যাগ করে। এইসবই হয়েছিল উত্তমের অনুপস্থিতিতে।
উক্ত ছবির প্রচারের এই ঘটনা রামুতে বিশ্বস্ত এবং বসবাসরতদের সুত্রে জানতে পেরেছি।
রাইসুল ইসলাম সৌরভ বলেছেনঃ
জানানোর জন্য ধন্যবাদ।
dastagir বলেছেনঃ
উত্তমের ফেসবুক পাসওয়ার্ড তার বন্ধুও (সে মুসলিম) জানতো ? তা, মিঃ উত্তম, এমন পেয়ারা দোস্ত (ব্রাকেটে মুসলিম) যাকে কি না আপনার পাসওয়ার্ড পর্যন্ত বিলিয়ে দিয়েছেন ? বলতে গেলে হৃদয় উজাড় করে বনন্ধুত্ব করেছেন – সে আপনার এত বড় ক্ষতি করল ? তো, এখনো কেন তাকে আইনের হাতে তুলে দিচ্ছেন না ? ব্যাপারটা কেমন রহস্যজনক নয় কি ? গল্প টল্প লেখেন বুঝি ? এক কাজ করুন, আপনার বন্ধুর পুরো সি ভি এখানে প্রকাশ করুন । আমরা সবাই আপনার সেই বন্ধূকে চিনে রাখি এবং বিনা দ্বিধায় বলতে পারি- এ দেশের জনগনই তাকে আইনের হাতে তুলে দিবে । দয়া করে তার পরিচয় জাতির কাছে তুলে ধরুন ,তার ছবি সহ । আর যদি তা না পারেন, তবে এটা বুঝতে কারো অসুবিধা হবার কথা নয়- একটা রূপ কথার গল্প শুনিয়ে মানুষের সফ্ট সাইট পাবার ধান্দায় এটি রচনা করেছেন ।
বেদুইন বলেছেনঃ
সাদা কালো বলেছেন: উত্তমের ফেসবুক পাসওয়ার্ড তার বন্ধুও (সে মুসলিম) জানতো। ওইদিন উত্তমের অনুপস্থিতিতে তার বন্ধু উত্তমের আইডিতে ঢুকে (এরকম তারা আগেও করেছে এবং তাদের জন্য এটা স্বাভাবিক একটা ব্যাপার ছিল) এবং কোরানের অবমাননাকারি উক্ত ছবিটা দেখতে পায় যা উত্তমকে ট্যাগ করা হয়েছিল।
মি সাদা কালো, এটা কি যৌক্তিক, না কি আপনারও কোন উদ্দেশ্য আছে?
নুরুন্নাহার শিরীন বলেছেনঃ
রাইসুল ইসলাম সৌরভ, ভাই আমরা অনেকেই নিশ্চয় আতঙ্কিত এমন একটি উস্কানিময় উগ্র-মৌলবাদের সহিংস্র ঘটনায়। এবঙ অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবেই ঘটিয়েছে ইন্ধনদাতা-মদদদাতার সহযোগে। ভয়ঙ্করের জ্বলন্ত থাবায় শান্তিপ্রিয় সম্প্রদায়ের মন্দির-ই শুধু না হৃদয় মন্দির ভস্মীভূত বেদনাস্তুপে হাহাকার করছে আর যাদের ভন্ডামী ধর্মের অনৈতিক আলখাল্লায় আবৃত তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতাদের বিবৃতি-টকশো-পন্ডিতি অব্যাহত মিথ্যেবাজিতে মশগুল …তথাপি তারা নিশ্চয় জনগণকে হাজার চেষ্টাতেও বারংবার বোকা বানাতে ব্যার্থ হবেই। কথায় আছে না “বারবার ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান” এবার আর ধানের ক্ষেতে নাড়া পুড়িয়ে খেতে দেবেনা তাদের সজাগ জনগণ। এমন আশায় বেঁধেছি স্বপ্নবান আগামী …জয় সত্য-র পক্ষেই আসবে, ইতিহাস হতেই শেখা। আগামী দিন অশনিমুক্ত শুভদিন হউক।
রাইসুল ইসলাম সৌরভ বলেছেনঃ
সহমত। জয় সত্য-র পক্ষেই আসবে, ইতিহাস হতেই শেখা। আগামী দিন অশনিমুক্ত শুভদিন হউক।