ভাগ্য হতা পদ্মাকে এখন কে ঠাঁই দিবে ?কলঙ্ক যুক্ত নিচু হওয়া মাথা নিয়ে নতুন করে আবার কার নিকট গিয়ে ধর্ণা দিয়ে হাত বাড়িয়ে দিবে সাহায্যের জন্য ?এমন প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে অনেকের মনে।
পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে বিশ্ব ব্যাংক তাদের অবস্থান থেকে সরে যাওয়ার পর একই ধরনের ইঙ্গিত প্রদান করেছে আরেক অর্থায়নকারী সংস্থা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবির)।এখন বাঁকী রইল জাইকা ও আইডিবি'র সিদ্ধান্ত।তারাও যদি এমন কঠোর সিদ্ধান্ত তাহলে পদ্মার আর কোন কুল-কিনার থাকবে বলে মনে হয় না।আসুন দোয়া-প্রার্থনা করি 'জাইকা ও আইডিবি' যেন মমতাময়ী হয়ে আমাদের সহায়তা করে ষোল কোটি মানুষের লালিত স্বপ্ন পুরুন করে।
এডিবি তাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, "যে কারণে বিশ্ব ব্যাংক এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এডিবি তা অনুধাবন করতে পারে এবং এই সিদ্ধান্তকে সম্মান করে। পরিচালনের ক্ষেত্রে এডিবি ও বিশ্ব ব্যাংক একই ধরনের নীতি, নিয়ম ও পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকে। তবে উভয়পক্ষ (বাংলাদেশ ও বিশ্ব ব্যাংক) এ বিষয়ে কার্যকর মতৈক্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়ায় এবং বাংলাদেশ ও এই অঞ্চলের জন্য পদ্মা প্রকল্পের গুরুত্ব বিবেচনা করে এডিবি মর্মাহত।"
এডিবি সরাসরি সরে যাওয়ার কথা না বললেও বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে চুক্তির যে ধরণ তাতে মূল অর্থদাতা সংস্থা সরে গেলে অন্যদের অর্থায়নও আপনা আপনি আটকে যাওয়ার কথা। ফলে এডিবিসহ অন্য সংস্থাগুলোর কাছ থেকে আগের চুক্তি অনুযায়ী টাকা পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
বর্তমান পরিস্থিতিতে হতাশা প্রকাশ করে ঢাকায় জাইকার প্রতিনিধি কেই তোয়ামা রোববার বলেছিলেন, " জাপান সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।" এ প্রকল্পে জাইকার ৪০ কোটি অর্থায়ন করার কথা রয়েছে। চারটি সংস্থাই অর্থায়নের বিষয়ে গত বছর সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়। এরপর দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গত সেপ্টেম্বরে বিশ্ব ব্যাংক অর্থায়ন স্থগিত করে।
দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ পাওয়ার দাবি করে বিশ্ব ব্যাংক শুক্রবার পদ্মা সেতু প্রকল্পে তাদের অর্থায়ন বাতিলের ঘোষণা করেছে। ২৯০ কোটি ডলারের এই প্রকল্পে তাদের সবচেয়ে বেশি ১২০ কোটি ডলার দেওয়ার কথা ছিল।।