পিপড়াই খাওয়া গুড় পতাকাবাহী-সিকিউরিটির গাড়ীতে নেওয়া চাট্টি খানি ব্যাপার নয়

মো.রাজেকুল ইসলাম ( আগ্নেয়গিরি )
Published : 17 Sept 2012, 01:30 PM
Updated : 17 Sept 2012, 01:30 PM

চেয়ারে না থাকলে কত কথাই না বলা যায় কিন্তু যখন চেয়ারে বসার সুযোগ হয় তখন আর কাত ফেরার সুযোগ টুকুও কপালে আসেনা।বড় কপাল হলে বুঝি আস্তে আস্তে পুড়ে যায় ।আর পরিধি কম ফায়ার সার্ভিসের আশপাশের সব উইনিট এসেও রক্ষা করতে পারে না।

সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত মন্ত্রী হওয়ার আগে সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বক্তব্য রাখতেন।নিজের এপিএস বস্তাভর্তি টাকাসহ ধরা পড়ার পর মুখে তালাচাবি।
তোফায়েল আহমেদও সরকারের কঠোর সমালোচনা করতে দেখা গেছে।মন্ত্রীত্ব নিলে হয়ত দায়িত্ব বোধ থেকে ইচ্ছা থাকলেও অনেক প্রতিবাদের কথাই হয়ত নিজের পেটের মধ্য হজম করতে হতো।
তোফায়েল এবং রাশেদ খাঁন যেন মহাজোটের পচা পুঁটির মাছ।তাদের কে মন্ত্রী বানানো হবে এটা একটা বড় ধনের খুশির খবর হওয়ার কথা ছিলো।কিন্তু হিতে বিপরীত হয়ে গেল।তাদের কে সচিবের মাধ্যমে মন্ত্রীত্বের শপথ গ্রহনের আমন্ত্রণ জানানোর ঘটনা থেকেই অবলোকন করা যায় তাদের সম্পর্কে হাইকমান্ডের মনোভাব কেমন ছিল।
মহাজোট সরকার এখন কঠিন সময় খারাপ সময় পার করছে।হলমার্ক কেলেঙ্কারি,রেল কেলেংকারী, পদ্মা সেতু দুর্নীতি,ডেসটিনির আর্থিক কেলেঙ্কারি, শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির ঘটনাও সরকারের বড় দুর্বলতা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এসব ঘটনায় সরকার ঘরে-বাইরে প্রচণ্ড সমালোচনার মুখে রয়েছে।

তোফায়েল আহমেদ মন্ত্রিত্ব না নেয়া ঘরে-বাইরে চরমভাবে সমালোচনা।তোফায়েল আহমেদ সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।ডুবন্ত তরিতে উঠে শেষ বয়সে বদনাম নিয়ে লাভ কি?
মন্ত্রিসভার অনেক সদস্য চার বছরের নানা ব্যর্থতার বেড়াজালে জড়িয়ে পড়েছেন। নানামুখি সংকট থেকে মুক্তি পেতেই কি এই প্রবীণ নেতাকে মন্ত্রী বানানোর চিন্তা করা হচ্ছিল?
সিনিয়র নেতাদের অবমূল্যায়নে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরেও অসন্তুষ্টির খবর কারো অজানা নয় ।অসম্মানের দুঃখ বুকে নিয়েই হয়তবা পরপারে চলে গেছেন দলটির বর্ষীয়ান রাজনীতিক আবদুর রাজ্জাক।আওয়ামী লীগের হয়ে ষাটের দশক থেকে এ পর্যন্ত রাজপথ কাঁপানো প্রবীণ রাজনীতিক আমির হোসেন আমু,তোফায়েল আহমেদ,আবদুল জলিলের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চার বছরেও ঠাঁই হয়নি।
রাশেদ খাঁনও এবং তার দলও হয়তো আশা-স্বপ্ন দেখেছিলো কিন্তু তা গুড়ে বালু হয়ে যায়।পিপড়ায় খাওয়া গুড়রের মিষ্টির স্বাদ পাওয়া দুরুহ ব্যাপার।গদি বা ক্ষমতায় আকড়ে ধরে থাকা ব্যক্তিদের অপসারনের জন্য-মিছিল,মিটিং,মানব বন্ধন,রক্ত ঢেলে প্রতিবাদ আরও কতই না কি ঘটে।সেখানে ক্ষমতা আর জাতীয় পতাকাবাহী আগে-পিছে সশস্ত্র সিকিউরিটির গাড়ী পাওয়ার লোভ-লালসা বির্সজন দেওয়া বাংলাদেশের মতো স্থানে চাট্টিখানি ব্যাপার নয়।
আমরা চাই রাজনীতিতে এমন মনোভাবের নেতা আসুক যারা দৃষ্টান্ত স্থাপন করে বাংলার মানুষের মাঝে ইতিহাস হয়ে থাকবে।##