যত্রতত্র মূত্রপাত ঠেকাতে দেয়ালে বাংলার পরিবর্তে আরবি-ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ভাল উদ্যোগ

রেজওয়ান মোর্শেদ
Published : 7 May 2015, 02:08 PM
Updated : 7 May 2015, 02:08 PM

আমার পূর্বের একটি লেখায় – দেশের নাগরিক – আমার ও আপনার কিছু করনীয় কাজ এই 'যত্রতত্র মুত্রপাত' বিষয়টির অন্তর্ভুক্তি ছিল। ঢাকায় কিছু জনবহুল এলাকায় ফুটপাথ দিয়ে চলতে গেলে যে পরিমান দুর্গন্ধের মধ্যদিয়ে যেতে হয় তা আবর্জনা ফেলানর কন্টেইনার বা স্তূপের দুর্গন্ধ থেকে কম না, ভিক্ষুক থেকে রিকশাওয়ালা–পথচারী থেকে চাকুরিজিবি ও ব্যাবসায়ি সবাই জনসম্মুখে দাড়িয়ে প্রসাব করতেছে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেই বিশুদ্ধ পানিতে নিজের জুতা বা পা পবিত্র হচ্ছে তাতেও থামার জো নেই, লজ্জার – 'ল' টা হয়তো বাসায় ভুল করে রেখে বেরিয়েছে কিন্তু পাশেই সরকারিভাবে লাগানো টয়লেট যে ডাকতেছে আমাকে ব্যাবহার করুন সেটাও বুঝি আঁখি হতে বহুদুর। যাক দেরিতে হলেও একটি ভাল উদ্যোগ দেখলাম যে ধর্মমন্ত্রণালয় যত্রতত্র মূত্রপাত ঠেকাতে দেয়ালে আরবি অক্ষরে লেখা বিভিন্ন সচেতনতামুলক সব্দের প্রয়োগ করতেছে।

পূর্বে বিভিন্ন দেয়ালে লেখা থাকতো – এখানে প্রস্রাব করা নিষেধ। কিন্তু তার তোয়াক্কা না করেই সবাই দেখতাম মহান তবিয়তেই করে যেত। অনেক সময় যেখানে লেখা থাকতো তার উপরেই। এটাকে ভাল উদ্যোগ বলতেছি এই কারনে যে – আমাদের দেশে প্রায় ৯০ ভাগ মুসলমান এবং ধর্মগ্রন্থের পাশাপাশি আরবি লেখাকেও সবাই শ্রদ্ধা করে। তাই দেয়ালে যখন আরবি লেখা থাকবে তখন সবাই একটু হলেও ইতস্ততবধ করবে এবং চেষ্টা করবে অন্যকথাও করার একটু কষ্ট হলেও।

অনেকেই এটা নিয়ে দ্বিমত পোষণ করতেছে যে এতে করে আরবি ভাষার অপমান হবে। আমার কিন্তু তা মনে হয় না, যদিও আমাদের ধর্মগ্রন্থ আরবি ভাষায় লেখা তবে আরবিও কিন্তু অন্যান্য হাজারও ভাষার মতই একটি ভাষা। যেহেতু আরবি লেখায় মুসলমানদের শ্রদ্ধাবোধ বেশি তাই এই ভাষায় লেখা যদি থাকে এখানে প্রসাব করবেন না, তাহলে অনেকেই শুধুমাত্র আরবি শব্দের কারনে প্রস্রাব করবে না। যা আমাদের শহরকেই দুর্গন্ধমুক্ত ও পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করবে। তাই ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এই উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।