গুপ্ত হত্যা!

রাশেদ৮৭
Published : 20 Dec 2011, 03:35 AM
Updated : 20 Dec 2011, 03:35 AM

গত অনেকদিন ধরেই পত্রিকার পাতায় দুটি সাধারন সংবাদ হল মানুষের নিখোঁজ হবার খবর এবং কিছুদিনের মধ্যে নিখোঁজ কারো কারো মৃত দেহ ধলেশ্বরী কিংবা অন্য কোন নদীতে ভেসে উঠার খবর। এগুলোকে বলা হচ্ছে গুপ্ত হত্যা। আবার কেউ কেউ অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিখোঁজই থেকে যাচ্ছেন। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) প্রধানত সংবাদপত্রের ভিত্তিতে ১৮ই ফেব্রুয়ারী ২০১১ থেকে ১৫ই ডিসেম্বর ২০১১ পযর্ন্ত ৪২ ব্যক্তির অপহরনের একটি তালিকা তৈরি করেছে যার মধ্যে ১৪ জনের লাশ মিলেছে(সূত্র: ১৯ ডিসেম্বর ২০১১, প্রথম আলো)। এত ভয়ংকর নৃশংস মানুষ হত্যার খবর গুলো আমাদের অবলীলায় হজম করতে হচ্ছে যেন এটা একটা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে! আবার একই সময়ে আরো একটি নিত্য খবর হল, দেশের বর্তমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভালো(!)। এতটাই ভালো য়ে পত্রিকার পাতা ছাড়া দু একটা দুর্ঘটনার খবর সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিবর্গের কাছে পেৌছায়না(!)।

আমরা দেখেছি আমিনবাজারে গ্রামবাসী কর্তৃক নিরীহ ৬ ছাত্রকে পিটিয়ে মেরে ফেলার ঘটনা। সেটি ঘটেছিল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীদের প্রতি মানুষের চরম অনাস্থা এবং ডাকাত আতংকের ফলে। আইন-শ্রঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নামে লোকজনকে অপহরন এবং কিছুদিনের মধ্যে নিখোঁজ মানুষদের মধ্যে কারো কারো মৃতদেহ উদ্ধার, এমনি ভাবে চলার ফলে এখন সাধারন জনমনে এমন ধারনা প্রতিষ্ঠা পেয়েছে য়ে এসব গুপ্তহত্যা ও আইন-শ্রঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর সদস্যদের মধ্যে যোগসূত্র আছে! কেননা এ ব্যাপারে তাদের প্রত্যক্ষ কোন সক্রিয় পদক্ষেপ এখনো লক্ষ করা যাচ্ছেনা। বর্তমান অবস্থা চলতে থাকলে এমনটা হওয়া মোটেই অসম্ভব নয় যে, কোনএকদিন আইন-শ্রঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরীহ(!) সদস্যরা তাদের সত্যিকারের কর্তব্য পালন করতে গিয়েও আতংকিত জনগণের জনরোষের শিকার হবেন!