জাতীয় পরিচয় পত্র নিবন্ধন অধ্যাদেশ, ২০০৮(২০০৮ সালের ১৮ নং অধ্যাদেশ) এর ধারা ১৩ এর উপধারা (১) ও (২) অনুযায়ী সরকার কর্তৃক গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা বিভিন্ন সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে পরিচয় বা সনাক্তকরণ ইত্যাদির জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন বা অনুলিপি দাখিলের ব্যবস্থা চালু করার বিধান রয়েছে।
একই সাথে (৩) উপধারা অনুযায়ী সকল নাগরিকের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন বা অনুলিপি দাখিলের বাধ্যবাধকতামূলক প্রজ্ঞাপন জারী করা যাবে না।
উপরোক্ত (৩) উপধারা মোতাবেক নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ২৮ জানুয়ারী ২০০৯ তারিখে এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি প্রদান করে যে, বিভিন্ন ব্যাংক, সংস্থা বা দপ্তরের সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে পরবর্তী গেজেট বিজ্ঞপ্তি না হওয়া পর্যন্ত বাধ্যতামূলক না করার জন্য নির্দেশনা প্রদানের অনুরোধ করা হয়।(নং নিকস/নি-১/ছসভোতা(আইডি)-১/২০০৯/১২৭)
বাংলাদেশের ইতিহাসে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের কার্যক্রম অত্যন্ত বড় একটি কাজ। এর সফল প্রয়োগে দূর্নীতি যেমন কমানো সম্ভব তেমনিভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশের বাস্তবায়নে একটি বড় মাইলফলক অতিক্রম করা সম্ভব হতো।
কিন্তু দু:খের বিষয় হলো উপরোক্ত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ভোটার তালিকা অনুযায়ী সকলের আইডি কার্ড তৈরী হলেও অল্প কিছুসংখ্যক ভোটার আইডি কার্ড বিতরণ বাকী থাকায় কার্যক্রমটি সম্পন্ন হতে পারছে না।
বাস্তবতা হলো এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার নয় বরং এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আর এত বড় কাজের মধ্যে কিছু ভুলভ্রান্তি থাকা অস্বাভাবিক নয়। এক বৎসরের অধিক কাল অতিক্রান্ত হয়েছে, আর কতদিন প্রয়োজন হবে শুধুমাত্র বিতরণের কারণে? এত বড় একটি প্রকল্প সাফল্যের মুখ দেখতে পারছে না তা ভাবতেও অবাক লাগে।
ইতোমধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনের এ বিজ্ঞপ্তির তোয়াক্কা না করে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন/অনুলিপি প্রদান বাধ্যতামূলক করেছে। আবার অনেকে জালিয়াতির মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরী করেছে।যতদিন না নির্বাচন কমিশন/নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ এ তালিকা বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করছে ততদিন এর কোন কার্যকারিতা নাই।কারণ এ কাগুজে কার্ডটির সত্যতা যাচাইয়ের কোন বন্দোবস্ত নাই।
তাই যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট বর্তমান তালিকাটি অনলাইনে প্রকাশের জন্য অনুরোধ করছি এবং ভুলভ্রান্তি ঠিক করার যথাযথ পদক্ষেপ নিলে জনগন তার প্রয়োজনেই সংশোধন করে নিবে।