বৈষ্ণবদের কতকগুলি প্রাথমিক করণীয় ও অকরণীয়

হিমালয় হিমু
Published : 6 April 2012, 02:08 PM
Updated : 6 April 2012, 02:08 PM

১। বৈষ্ণবভক্তের সবসময় গুরু, ভগবান, ভগবানের শ্রীবিগ্রহ, ভগবানের শুদ্ধভক্ত ও শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিকে প্রণাম করা উচিত।
২। সর্বদা কাচা, ধোয়া কাপড় জামা পরা উচিত।
৩। কখনো রূঢ় ভাষা প্রয়োগ করা উচিত নয়।
৪। কখনোই নিজের প্রশংসা করা উচিত নয়।
৫। অতিরিক্ত ঘুমানো বা জেগে থাকা উচিত নয়।
৬। তিলক ধারন করার পর আচমন করা উচিত।
৭। দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করা উচিত নয়।
৮। প্রস্রাব করার পর জল ব্যবহার করা উচিত।
৯। পায়খানা করার পর স্নান করা উচিত।
১০। প্রসাদ পাওয়ার পূর্বে ও পরে হাত-পা ও মুখ ভালোভাবে ধোওয়া উচিত।
১১। কখনো মিথ্যা কথা বলা, হিংসা করা, অপরের বদনাম করা, কারো সঙ্গে শত্রুতা করা উচিত নয়।
১২। কখনো কারো কিছু চুরি করা উচিত নয়।
১৩। অট্টহাস্য করা বা ব্যংগ করা উচিত নয়।
১৪। মুখ না ঢেকে হাঁচি বা হাই তোলা উচিত নয়।
১৫। বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তির সামনে পা ছড়িয়ে বসা উচিত নয়।
১৬। প্রসাদ পাওয়ার সময় থু থু করা বা হাত না ধুয়ে কাউকে পরিবেশন করা উচিত নয়।
১৭। মহিলাদের প্রতি হিংসা করা, তাদের সঙ্গে তর্ক করা বা তাদের অপমান করা উচিত নয়।
১৮। কখনো কারো ক্ষতি করা উচিত নয় বরং উপকার করার চেষ্টা করা উচিত।
১৯। বিবেহীন অসৎ লোকের সঙ্গ করা উচিত নয়।
২০। অসৎশাস্ত্র পাঠ বা অধ্যয়ন করা উচিত নয়।
২১। পতিত ব্যক্তির আশ্রয় নেওয়া উচিত নয়।
২২। রাত্রিতে অসতী মহিলাদের সাথে ঘোরা উচিত নয়।
২৩। অসৎ লোকের সঙ্গে বন্ধুত্ব করা উচিত নয়।
২৪। অজ্ঞ , বোকা, পীড়িত, কুৎসিত, খোঁড়া ও পতিত লোককে আঘাত করা উচিত নয়।
২৫। ক্ষৌরকর্ম করলে, শ্মশানে গেলে, & যৌনসংগম করলে স্নান করা উচিত।
২৬। কারো মাথায় আঘাত করা বা চুল ধরে টানা উচিত নয়।
২৭। বস্ত্রহীন ব্যক্তির দিকে তাকানো উচিত নয়।
২৮। একমাত্র পুত্র বা শিষ্য ছাড়া শিক্ষাদানের সময় কাউকে প্রহার করা বা তিরস্কার করা উচিত নয়।
২৯। প্রসাদ পাওয়ার পর ঐ স্থান সত্বর পরিষ্কার করা উচিত।
৩০। রাত্রিতে ছোলা বা দই খাওয়া উচিত নয়।
৩১। কোলের ওপর রেখে কোন কিছু খাওয়া উচিত নয়।
৩২। সন্নাসীদের তিনবার & ব্রহ্মচারীদের ২বার স্নান করা উচিত।
৩৩। গর্ভ মন্দিরে ঘুমানো উচিত নয়।
৩৪। কখনো স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করা উচিত নয়।
৩৫। খাওয়ার জলে থুথু ফেলা উচিত নয়।
৩৬। কেউ যদি অপমান করে তাকে তিরস্কার করা উচিত নয়, বরং তাকে বোঝানো উচিত, যদি না বোঝে তবে সেই স্থান ত্যাগ করা উচিত।
৩৭। ভোর ৪টার পূর্বে শয্যা ত্যাগ করা উচিত।
৩৮। প্রতিদিন মংগল আরতিতে যোগ দেওয়া উচিত।
৩৯। খাওয়া বা পান করার জন্য ডান হাত ব্যবহার করা উচিত।
৪০। ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধোওয়া ও স্নান করা উচিত।
৪১। ব্রহ্মচারীদের কখনো একা একা ঘোরা উচিত নয়।
৪২। শিশুদের স্পর্শ, আদর করা অথবা কোলে তোলা ব্রহ্মচারীদের নিষিদ্ধ।
৪৩। প্রতিদিন ভালোভাবে নিজেদের ঘর ঝাড়ু দেওয়া ও ধোওয়া উচিত।
৪৪। গুরুদেবের ও কর্তৃপক্ষের আদেশ বা নির্দেশ পাওয়া মাত্র সেই আদেশ পালন করা উচিত।
৪৫। শ্লোক & স্তোত্রাবলী স্পষ্ট করে উচ্চারণ করা উচিত।
৪৬। কারো নিকট যাতে কোনরূপ অপরাধ না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত।
৪৭। ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে হাত-পা ভালো করে ধোওয়া উচিত।
৪৮। ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে কৃষ্ণলীলা বিষয়ক গন্থ পাঠ, কৃষ্ণলীলা চিন্তা বা কৃষ্ণনাম করা উচিত।
৪৯। সকালে ঘুম ভাঙ্গার সঙ্গে সঙ্গে শ্রীকৃষ্ণ মূর্তি বা ছবি বা শ্রীগুরুদেবের ছবি দর্শন করা এবং প্রণাম করা উচিত।
৫০। জপ-মালা কখনো মাটিতে রাখা উচিত নয়; জপমালা নিয়ে বাথরুমে যাওয়া উচিত নয়; জপমালাকে সর্ব্দা পবিত্র রাখা উচিত।
৫১। ঘরের মধ্যে বা বারান্দায় চুল, দাড়ি, নখকাটা বা দাঁত মাজা উচিত নয়।